বাংলাহান্ট ডেস্ক: আফগানিস্তান বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একপ্রকার তালিবান রাজত্ব। এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও সেই দেশে মহিলাদের উপর রয়েছে হাজারো বাধা নিষেধ। সেই দেশেরই মানুষের অভিযোগ যথাযথ শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের মহিলারা। এমতাবস্থায় কোনও বাবার নিজের মেয়ের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা নেহাতই অলীক স্বপ্ন।
কিন্তু এই স্বপ্নই বাস্তবে পরিণত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন মিয়া খান। তাঁর লক্ষ্য সুশিক্ষিত করে মেয়েদের ডাক্তার বানাবেন। তাই সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ১২ কিমি রাস্তা অতিক্রম করে তিন মেয়েকে দিয়ে আসেন স্কুলে। একদিন, দুদিন নয়, এটা তাঁর দৈনন্দিন রুটিন। শুধু তাই নয়, স্কুল শুরু হলে ৪ ঘন্টা বাইরে অপেক্ষা করে মেয়েদের ফের বাইকে চাপিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন মিয়া।
সুইডেনের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তৈরি স্কুল নুরানিয়ানিয়া-য় পড়ে মিয়া খানের মেয়েরা। এই প্রসঙ্গে মিয়া বলেন, “আমি অশিক্ষিত হলেও বুঝি শিক্ষার কী মূল্য। মেয়েদের শিক্ষা খুবই জরুরি। এখানে কোনও মহিলা ডাক্তার নেই। আমার মেয়েরা সেই অভাব পূরণ করবে।”
এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল হয়ে যায় মিয়া খান। সুইডিশ কমিটি ফর আফগানিস্তানকে তাঁর এক মেয়ে রোজি বলেন, “আমি এখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ি। আমার বাবা বা দাদা প্রতিদিন আমাদের বাইকে করে স্কুলে ছাড়তে আসেন। স্কুল ছুটির পর আবার বাড়ি নিয়ে যান।” বলা বাহুল্য মিয়া খানের এই উদ্যোগ সাধুবাদ জানিয়েছে নেটিজেনরা। তাঁকে দেখে আরও বাবারা এগিয়ে আসুন, এটাই এখন সবার কাম্য।