বাংলা হান্ট ডেস্ক: মন্দিরে অলঙ্কার এবং মূর্তি চুরির ঘটনা প্রায়শই উঠে আসে খবরের শিরোনামে। এমনকি, সারা দেশজুড়েই এমন ঘটনা ঘটে থাকে। পাশাপাশি, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কিছু জায়গায় দোষীরা ধরা পড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খোঁজ পাওয়া যায়না অপরাধীদের। কিন্তু, এবার এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যা শুনে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে সকলের। আর ঠিক সেইরকমই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশ।
জানা গিয়েছে যে, সেখানে কোটি টাকার মূর্তি চুরির পরও তা ফেরত দিয়ে দিয়েছে চোর। তবে, তার পেছনে রয়েছে এক অবাক করা কারণও। আর তার জেরেই গত রবিবার চুরি যাওয়া সমস্ত মূর্তি মোহান্তের বাড়ি কাছে একটি বস্তার মধ্যে ফেরত পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, সেই বস্তার মধ্যেই একটি চিঠিতে সেগুলির ফেরত দেওয়ার কারণও জানিয়েছে চোর।
ঠিক কি ঘটেছে:
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূটের বালাজি মন্দির থেকে কয়েক দিন আগেই ১৬ টি প্রাচীন অষ্টধাতুর মূর্তি সহ প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সামগ্রী চুরি হয়ে যায়। এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই মন্দিরের মহান্ত রামবালক গত ৯ মে অজ্ঞাত পরিচয় চোরের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে একটি এফআইআর দায়ের করেন।
পাশাপাশি, সেই এফআইআরে জানানো হয় যে, মন্দির থেকে কোটি টাকা মূল্যের দেবতার জিনিস চুরি হয়েছে। এছাড়াও, মহান্তর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মন্দিরের তালা ভেঙে রাতের অন্ধকারে বেশ কয়েকটি ভগবানের মূর্তি চুরি করে নেয় অপরাধীরা। যার মধ্যে ছিল পিতলের রাধাকৃষ্ণ মূর্তি, বালাজির মূর্তি, লাড্ডু গোপালের মূর্তি এবং ভগবান শ্রী রামের ৫ কেজির মূর্তি সহ পিতল, তামা, অষ্টধাতুর মোট ১৬ টি মূর্তি। পাশাপাশি, পুজোর উপকরণ এবং নগদ টাকা থেকে শুরু করে অলঙ্কারও চুরি করা হয়।
মূর্তিগুলি ফেরত দেওয়ার কারণ:
এদিকে, এই আবহেই পুলিশের তদন্তের মাঝে অভিনব ভাবে খোঁজ মিলল চুরি হয়ে যাওয়া মূর্তিগুলির। পাশাপাশি, মেলে একটি চিঠিও। এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন যে, গত রবিবার মোহান্ত রামবালকের বাড়ির কাছে একটি বস্তা পাওয়া যায় বলে খবর মেলে। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয় ১৪ টি মূর্তি। তবে, সকলের নজর যায় ওই চিঠিটিতে।
এই প্রসঙ্গে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, যে বা যারা ওই মন্দির থেকে জিনিস এবং মূর্তিগুলি চুরি করেছিল, তারাই এই চিঠিটি লিখেছে। যেখানে জানানো হয়েছে যে, ওই মন্দিরে মূর্তিগুলি চুরি করার পর থেকেই কার্যত জীবন থেকে শান্তি উধাও হয়েছে চোরের। এমনকি, ঠিকমত ঘুমোতেও পারছেন না চোরেরা। যখনই ঘুমোতে যাচ্ছেন তখনই ভয়ঙ্কর সব স্বপ্ন দেখে জেগে উঠতে হচ্ছে।
যার ফলে একপ্রকার ভয় পেয়েই মূর্তিগুলি ফিরিয়ে দিয়েছে চোর বা চোরের দল। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত চাঞ্চল্য দেখা গিয়েছে সর্বত্র। জানা গিয়েছে যে, আপাতত বাকি দুই চুরি যাওয়া মূর্তির খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, ফেরত পাওয়া ১৪ টি মূর্তি আপাতত জমা রয়েছে কোতয়ালি থানায়। এছাড়াও, দোষীদের খোঁজে তদন্তও চালাচ্ছে পুলিশ।