বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবারের লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election) বাংলার মানচিত্রে অনেকেরই নজর ছিল ঘাটাল (Ghatal) কেন্দ্রের দিকে। একদিকে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী দেব (Dev), অন্যদিকে বিজেপির তারকা প্রার্থী হিরণ (Hiran)। দুই অভিনেতা কাম নেতার লড়াইয়ে জমজমাট ছিল ঘাটালের মাটি। ভোটের আগে জোর কদমে প্রচার চালালেও গত ২৫ মে ঘাটাল লোকসভায় ভোটের দিন কেশপুরের নানা প্রান্তে দফায় দফায় আটকেছিলেন হিরণ। তৃণমূলের অবরোধের সামনে কার্যত চুপ করে বসে থাকতে হয়েছিল বিজেপি প্রার্থীকে। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছিল।
ভোটের দিন জায়গায় জায়গায় বাধা পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন হিরণ। বলেছিলেন, ”কেশপুরে নির্বাচনের নামে পাগলু ড্যান্স করেছে তৃণমূলের বাহিনী।” ভোটের ফলাফল সামনে আসতেও দেখা যায় সেই কেশপুর বিধানসভায় এক লক্ষ ভোটে এগিয়ে ছিলেন দেব। মিটেছে ভোটের পর্ব। হিরণকে পরাজিত করে ফের বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন দেব। এবার বিজয় উৎসবের পালা।
শুক্রবার রাতে কেশপুর বিধানসভার জগন্নাথপুরে তৃণমূলের বিজয় উৎসব হয়েছে। সেখানে মঞ্চে ডেকে একে একে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হল, যারা লোকসভা ভোটের দিনে কেশপুরে বিজেপি প্রার্থী হিরণের পথে আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। ভোটের দিন জগন্নাথপুরের খেড়ুয়াবালিতেও দীর্ঘক্ষণ বিজেপি প্রার্থীকে আটকে রেখে অবরোধ করেন তৃণমূলের সমর্থকেরা।
সে দিনের সেই বিক্ষোভে যারা যারা অংশগ্রহণ করেছিলেন, শুক্রবার বিজয় উৎসবের মঞ্চে তাদের ডেকে নেওয়া হল। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে পুষ্পস্তবক দিয়ে, উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হল প্রকাশ্য মঞ্চে। অনুষ্ঠান শেষে তাদের বলতে শোনা গেল, ‘সংবর্ধিত হয়ে দারুন লাগছে।’
এদিন বিজয় উৎসবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ বরদোলুই। তিনি বলেন, ”দলের বুথ সভাপতিদের পাশাপাশি দলের সক্রিয় কর্মীদেরও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বুথ কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্যই আমরা এখানে বিপুল ভোটে এগিয়ে। তাই তাদের উৎসাহ দিতেই এই আয়োজন।”
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের ব্যবহার নিয়ে কড়াকড়ি মমতার, জারি হল নয়া বিজ্ঞপ্তি
বিজয় উৎসবে শুধুই পুরুস্কার বিতরণ বা ভাষণ নয়। এদিন জম্পেশ নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূল তরফে। ছিল ভাত, ডাল, তরকারি, মাছ। গরমের চোটে মাংস বাদ পড়লেও দু’পিস করে মাছ দিয়ে ভরপেট খেয়েছেন সকলে। শোনা গিয়েছে, ভোটলুঠ, ছাপ্পা ইত্যাদির অভিযোগ তুলে ঘাটালের ফল নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি।