বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি রাস্তার ধারে বেআইনিভাবে জমি দখল নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী আমলাদের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তোলা তুলে হকার বসানোর জন্য রাজ্যের কাউন্সিলর থেকে শুরু করে পুলিশ কর্তাদের একেবারে তুলধোনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নতুন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এক মাস সময় দেওয়া হবে। হকারদের বেকার করে দেওয়ার পক্ষপাতী নন তিনি। তবে ফুটপাত দখল মুক্ত হোক সেটাও চান তিনি। এখন দেখার দুটো দিক একসঙ্গে কীভাবে বজায় রাখা যায়। জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো গোটা রাজ্য জুড়ে তৈরী হয়েছে হকার উচ্ছেদের পালা।
আর এই ঘটনায় কার্যত মাথায় হাত পড়েছে রাস্তার ধারে দোকান দেওয়া মালিকদের। সরকারি নির্দেশে ফুটপাত দখল মুক্ত করতে কার্যত ঘুম ওড়ার জোগাড় রাস্তার পাশে থাকার জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুডের মালিকদের। সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় ফুড ব্লগারদের দৌলতে ইদানিং শহরবাসীর কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন রাস্তার ধারে থাকা এমনই কয়েকজন দোকান মালিক।
যাদের মধ্যে রয়েছেন নন্দিনী দিদি, রাগী মাসি, সাগর, প্রমুখ। এই হকার উচ্ছেদের বিষয়ে এই সময়কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নন্দিনী দিদি জানিয়েছেন, ‘দোকানটাই যদি না থাকে আগামী দিনে খাব কী? কোথায় যাব? আমাদের দিকটাও তো ভাবা উচিত। এই দোকানই তো সব আমাদের। সরকারের কাছে আবেদন করব যাতে আমাদের কিছু ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: ‘নিশ্চয় খারাপ লেগেছে কারোর!’ গোরুর মাংস রান্না নিয়ে ক্ষমা চেয়ে কেঁদে ভাসালেন সুদীপা
রাগী মাসি জানিয়েছেন আগের তুলনায় তিনি রান্না করা কমিয়ে দিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে, তিনি জানিয়েছেন কম পরিমাণে রান্না করছেন কারণ অনেকের থেকেই মাসিক টাকা নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন হোটেল বন্ধ করলে তাঁর আর চলবে না।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশে কিন্তু ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন রাসবিহারী গড়িয়াহাট অঞ্চলের বিখ্যাত দোকান মালিক সাগর। এপ্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি পজিটিভ দিকটাই দেখি। প্রশাসন হয়তো আমাদের ভালোর জন্যই এটা করছে। মুখ্যমন্ত্রী হয়তো চাইছেন পরবর্তীতে আমরা যেন আরও বেশি করে গুছিয়ে দোকান করতে পারি।’