বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের নতুন মাত্রা দিতে চলেছে ফিফা। তাদের এই নতুন উদ্যোগ অনেকটাই সহজ করবে রেফারী এবং খেলোয়াড়দের কাজ। দিন ধরে ফুটবলে ‘ভার'(VAR)-এর ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির ব্যবহারও পুরোপুরিভাবে বিতর্ক দূর করতে পারেনি। এখনও নানান ক্ষেত্রে ভারের শান্ত নিয়ে সহমত পোষণ করতে পারেন না অনেক ফুটবলার এবং খোঁজ। অন্তত একটা ক্ষেত্রে সেই অসুবিধা দূর করার রাস্তা খুঁজে বার করেছে ফিফা।
ঘর থেকে কোন স্ট্রাইকার বা ফরওয়ার্ড অফসাইড কিনা তাও বুঝতে লাইন্সম্যানের প্রয়োজন হবে না আর। তারা অবশ্যই মাঠে থাকবেন কিন্তু তাদের কাজটা সহজ করে দেওয়ার জন্য এক আধা স্বয়ংক্রিয় যান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করছে ফিফা। ছবি এই প্রযুক্তি ঠিকঠাক কাজে লাগানো যায় তাহলে অফসাইড নির্ধারণের ব্যাপারটি অনেকটাই সোজা হয়ে যাবে।
কাতার বিশ্বকাপে যে বল ব্যবহৃত হতে চলেছে তার নাম ‘আল রাহিলা’, পি নামের অর্থ হলো ‘যাত্রা’। এই বলের হাত ধরে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ফুটবলবিশ্বে শুরু হতে চলেছে সত্যিই এক নতুন যাত্রা। আল্ল রাহিলার ভেতর বসানো থাকবে এই আধা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটি যা স্টেডিয়ামে ছাদে উপস্থিত বারোটি মাল্টি ট্রাকিং ক্যামেরার কাছে অল এবং মাঠে উপস্থিত খেলোয়াড়দের ২৯ টি বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলের ছবি সেকেন্ডে ৫০০ টি করে পাঠাবে তার থেকে একদম নিখুঁত ভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হবে যে একজন ফুটবলার যখন কাজ করছেন তখন তিনি অফসাইড রয়েছেন কি না। নিজেই সেই তথ্য যাচাই করে ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি কাছে উপস্থিত করবে এই প্রযুক্তি। অফসাইডের তথ্য উপস্থিত হলেই তারা মাঠে উপস্থিত রেফারী এবং লাইন্সম্যানদের সেই তথ্য পাঠিয়ে দেবেন যার থেকে অনেক দ্রুত অফসাইড ধরা সম্ভব হবে।
এরমধ্যেই এই প্রযুক্তি সদ্যসমাপ্ত আরব কাপ এবং ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২১-এ ব্যবহৃত হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের যাবতীয় তথ্য যাচাই করে দেখা যাচ্ছে যেখানে আগে একটি অফসাইড কল করতে গড় সময় লাগতো ৭০ সেকেন্ড, সেখানে এই প্রযুক্তি সেই সময়কে এনে নামাচ্ছে ২৫ সেকেন্ডে। কাতার বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে আরো কয়েকবার এই পরীক্ষা করে দেখা হবে কিন্তু ফিফা এখন থেকে নিশ্চিত করছে যে প্রযুক্তিটি বিশ্বকাপের মঞ্চে ব্যবহার করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।