বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বের সবথেকে বড় বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলার (Tesla) মালিক তথা বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধনী ইলন মাস্ক (Soon Musk) এখন চিনের পরিবর্তে ভারতেই তাঁর বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করতে চান। শুধু তাই নয়, কোম্পানিটি এখন আর আগের মতো তার সেই দাবিতেও অনড় নেই যে সরকারকে প্রথমে সম্পূর্ণরূপে নির্মিত ইউনিটের ক্ষেত্রে (সিবিইউ) আমদানি শুল্ক কমাতে হবে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ৪০ হাজার ডলার বা তার বেশি দামের গাড়ির ক্ষেত্রে ভারতে ১০০ শতাংশ আমদানি শুল্ক লাগে। এর চেয়ে কম দামের গাড়ির ওপর শুল্কের পরিমাণ হল ৬০ শতাংশ। এমতাবস্থায়, টেসলার প্রথমে দাবি ছিল যে, আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনার পরে তারা ভারতে উৎপাদনের বিষয়টি বিবেচনা করবে।
এদিকে, মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে সরকারি সূত্র বলছে যে, ভারতে আসা টেসলার দল ভারতের জন্য একটি উৎপাদন পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এই দলে সাপ্লাই চেইন আধিকারিকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (PMO) আধিকারিকদের সাথে বেশ কয়েকটি বৈঠকও সম্পন্ন হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, টেসলা এখনও কিছু শুল্ক ছাড় চাইতে পারে। যেটি সংস্থার কিছু মডেলের বাজার টেস্টিংয়ের জন্য হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সেটির চাহিদা খুব বেশি নাও থাকতে পারে। এছাড়াও, সিঙ্গেল ব্র্যান্ড রিটেলের অধীনে এক্সক্লুসিভ শোরুম খোলার ক্ষেত্রে যে ৩০ শতাংশ স্থানীয় সোর্সিং প্রয়োজন, সেটিও এজেন্ডায় রয়েছে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, দেশে Apple-এর অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের সফলতাকে প্রত্যক্ষ করেই টেসলা প্রথমে আমদানি শুল্ক কমানোর দিকে এবং তারপর সম্ভবত দেশীয় উৎপাদনের দিকেও জোর দিয়েছে। এদিকে, সরকারি আধিকারিকরা টেসলাকে জানিয়েছেন যে, আমদানি ছাড়ের জন্য তাদের চাহিদা অন্যভাবে পূরণ করা যেতে পারে। রেয়াতি শুল্কে সিবিইউ আমদানির পরিবর্তে, সরকার দেশীয় উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলিতে কোম্পানিকে আমদানি শুল্ক ছাড় দিতে ইচ্ছুক ছিল। এই ধরণের একটি স্কিম বর্তমানে ফেজড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রোগ্রাম (PMP)- এর অধীনে স্মার্টফোন উৎপাদনের সাথে যুক্ত প্রকল্পের জন্য দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে জানান যে, “ইলন মাস্ক এবং টেসলাকে ভারতে স্বাগত জানাই কিন্তু তারা যদি চিনে উৎপাদন করতে এবং ভারতে বিক্রি করতে চায় তবে তা সম্ভব নয়।” গড়করি জানান, “তারা এখানে নির্মাণ করলে আমরা ছাড় এবং ভর্তুকি দিতে প্রস্তুত রয়েছি।”