বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ‘দয়া করে এটিকে টা সরিয়ে নিন’, ‘প্লিজ শুধু মোহনবাগান বলে ডাকুন’, ‘এই নতুন এটিকেএম্বিকে আমি চিনি না, আমার দল মোহনবাগান’ ইত্যাদি নানাবিধ কথা সবুজ মেরুন সর্মথকরা গত দুই বছর ধরে মনের জ্বালায় বলে যাচ্ছিলেন। যেদিন থেকে এটিকে এবং মোহনবাগান মার্জ হয়ে একটি স্বতন্ত্র এন্টিটিতে পরিণত হয়েছে, সেদিন থেকেই আপামর মোহনবাগান সমর্থকরা এই ব্যাপারটিকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। অনেকেই এই বিষয়ের কোনও সমাধান নেই ধরে নিয়ে এই স্বতন্ত্র এন্টিটির সঙ্গেই মানিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই ক্ষুদ্র। তার ওপর এই বিশেষ গোষ্ঠীকে সাচ্চা মোহনবাগান সমর্থক নকল মোহনবাগানী বলে আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু আসন্ন দুর্গা পুজোর আগেই দুই গোষ্ঠীর এই ভেদাভেদ মিটে যেতে পারে।
কিছুদিনের মধ্যেই মোহনবাগানের সামনে থেকে সরে যেতে পারে এটিকে শব্দটি। হ্যাঁ, দুর্গাপূজায় আপামর সবুজ-মেরুন সমর্থকদের এই পুরস্কারই দিতে পারেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। আইপিএলের ম্যাচ থেকে শুরু করে নিজের বিভিন্ন বিজনেস কনফারেন্সে, বেশ কিছু জায়গায় তাকে গত কয়েক বছরে ‘রিমুভ এটিকে’ ধ্বনি শুনতে হয়েছে। সমর্থকদের বারংবার অনুরোধ আর অপেক্ষা করতে পারছেন না ক্লাব মালিক। তাই সূত্র মারফত পাওয়া খবর বলছে যে এটিকে নামটি সরানোর ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে তার আরপিএসজি গ্রূপ।
তবে কি শুধুই মোহনবাগান নাম নিয়ে আইএসএলে খেলতে নামবে সবুজ মেরুণ ফুটবলাররা। তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। ১৩৩ বছর অতিক্রম করা ক্লাবের ফুটবল দলের নতুন নাম নাকি ঠিক করে ফেলেছেন সঞ্জীব বাবু। ‘সুপার জায়ান্টস মোহনবাগান’ বা ‘মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস’ নাম নিয়ে আসন্ন আইএসএলে খেলতে দেখা যেতে পারে তাদের। নিজেদের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনৌ সুপার ডান্সের সঙ্গে মিলিয়ে এই নাম রাখার চিন্তাভাবনা করছে আরপিএসজি গ্রুপ। তবে কোনও কিছুই এখনো চূড়ান্ত নয়।
মোহনবাগানের কার্যকরী কমিটি গঠনের পর কমিটির সহ-সভাপতি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই প্রস্তাবটি সকলের সামনে আনেন। তার মতে সর্মথকরা দীর্ঘদিন পর একটি দাবিতে সোচ্চার হয়েছে, তাদের দাবিকে গুরুত্ব জানাতেই হবে। তার মোটে পুজোর আগে আগেই এটিকে নামটি সরানোর প্রক্রিয়াটির শেষ করে ফেললেই ভালো হবে কারণ তাদের সমর্থকদের পুজোর আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
এই বৈঠকের পরে মোহনবাগান সচিব দেবাশীষ দত্ত জানান যে কার্যকরী কমিটি তাকে দায়িত্ব দিয়েছে মালিক গোষ্ঠীর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করার। সমর্থকদের আবেগের ব্যাপারটাও তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে। তার বিশ্বাস গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে বেশি সময় লাগবে না কারণ সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নিজেও ছোটবেলা থেকেই মোহনবাগান ভক্ত। সমর্থকদের আবেগের জায়গাটা তিনি বোঝেন। খুব দ্রুতই তিনি আশা করছেন যে কোনও সমাধান তারা বের করে ফেলতে পারবেন।