বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবিকে মান্যতা দিয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মতো এ বার চালু হতে চলেছে ষষ্ঠ বেতন কমিশন। নতুন বছর থেকেই কার্যকর হবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ষষ্ঠ বেতন কমিশন, যেহেতু এর আগে চার বছর ধরে বারবার ষষ্ঠ বেতন কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে তা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের অন্ত ছিল না। তবে এবার আগামী নতুন বছর থেকেই চালু হচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন কমিশন তার সঙ্গে এবার আরও একটি নতুন খুশির খবর যোগ হল।
সেটি হলেও রোপা অর্থাত্ রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাউন্সের যে ফর্ম পূরণের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সেই অপশন ফর্ম পূরণের সময়সীমা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিল। যেহেতু রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ওই অপশন ফর্ম চালু করার শেষ দিন ছিল 24 ডিসেম্বর অবধি তাই এ বার সেই সময়সীমাকে বাড়িয়ে দিল রাজ্যের অর্থ দফতর, আগামী বছর অর্থাত্ 2020 সালের 15 জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত কর্মচারীকে অপশন ফর্ম জমা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে অর্থ দফতরের তরফে।
আগামী দুই এক দিনের মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত সরকার এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে চালু হবে রোপা বিধি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নবান্নের অর্থ দপ্তরের তরফে এই রোপা রুল জারি করা হয়েছিল যেখানে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন পরিকাঠামো শুরু হওয়ার কথা ছিল 18,539 টাকা করে কিন্তু মাঝে বিভিন্ন মামলার গেরোতে আটকে যায় নয়া রোপা নীতি চালু।
তবে এই প্রথম রাজ্যে পে কমিশনের সঙ্গে পেয়ে ম্যাট্রিক্সের সংযুক্তিকরণ করা সম্ভব হতে চলেছে। তাই যদি দু একদিনের মধ্যে এই নতুন রোপা নিয়ম বিধি চালু হয় সে ক্ষেত্রে কিন্তু মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে সংশোধিত বেতন কাঠামো জানতে পারবেন শিক্ষক শিক্ষাকর্মীরা। যেহেতু বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী রয়েছে তাই এই নতুন বিধি নিষেধ চালু করতে বেশ কিছু সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক জয়দেব গিরি জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই রোপা বিধি চালু করার জন্য রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।