বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রতিটি মানুষই সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনযাপন করতে চান। অনেকেই আবার নিয়মিত শরীরচর্চাও করেন এ জন্য। তবে অল্প কিছু মানুষই বয়সের সেঞ্চুরি পার করতে সক্ষম হন। এমনই একজন হলেন বাবা শিবানন্দ। যদিও, তাঁর বর্তমান বয়সের কথা জেনে অবাক হন সকলেই। যোগ গুরু বাবা শিবানন্দ, ইতিমধ্যেই পেরিয়ে এসেছেন ১২৬ টি বসন্ত। এই কৃতিত্বের কারণে তিনি ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন।
“DNA হিন্দি”-তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই বয়সে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকার রহস্য জানিয়েছেন বারাণসীর কবির নগর এলাকার বাসিন্দা বাবা শিবানন্দ। ১৮৯৬ সালের ৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এমনকি, একটা সময়ে নেতাজির খেলার সঙ্গীও ছিলেন বাবা শিবানন্দ। এমতাবস্থায়, সবাই জানতে আগ্রহী হন এই বয়সেও ফিট থাকার মূল রহস্য কি? তাই, জেনে নিন সেই গোপন রহস্য! যার মাধ্যমে খুব সহজেই সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব দীর্ঘদিন।
মাটিতে ঘুমোন বাবা শিবানন্দ:
জানা গিয়েছে যে, বাবা শিবানন্দ ঘুমোনোর ক্ষেত্রে গদি ও বালিশ ব্যবহার করেন না। পরিবর্তে মাটিতে চাটাই বিছিয়ে ঘুমোন তিনি। এছাড়াও, বালিশের জন্য কাঠের স্ট্র্যাপ ব্যবহার করা হয়।
মশলাদার খাওয়ার বর্জন:
মশলাদার খাওয়ার বর্জন:সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য কিছু নিয়ম-কানুন তৈরি করা এবং তা কঠোরভাবে অনুসরণ করা প্রয়োজন। বাবা শিবানন্দও সেই রকম কিছু মৌলিক নিয়ম তৈরি করেছেন। তিনি খাবারে মশলা একেবারে এড়িয়ে চলেন। সাধারণত সেদ্ধ খাবারই পছন্দ করেন তিনি। মূলত তাঁর খাদ্যের তালিকায় থাকে সেদ্ধ ভাত এবং মসুর ডাল।
নিয়মিত যোগসাধনা:
এছাড়াও, যোগব্যায়াম সব বয়সের মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেক যোগগুরু যোগব্যায়াম দ্বারাই একাধিক রোগকে দূরে সরিয়ে রাখতেও সক্ষম হন। বাবা শিবানন্দও যোগকে তাঁর দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি এই বয়সে সক্রিয় থাকার জন্য কৃতিত্ব দেন।
দুধ এবং ফল বর্জন:
বাবা শিবানন্দ তাঁর ডায়েটে দুধ এবং ফল অন্তর্ভুক্ত করেন না। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এগুলি অত্যন্ত “ফ্যান্সি” খাওয়ার এবং এগুলি আহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নয় বলেও মনে করেন তিনি। এছাড়াও, তিনি শৈশবে বহুবার ক্ষুধার্ত পেটে ঘুমিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
যৌনতা থেকে দূরত্ব বজায়:
বাবা শিবানন্দ বলেছেন যে, তিনি সবসময় যৌনতা থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন। কারণ সুষ্ঠুভাবে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার জন্য যৌনতা বর্জন করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন তিনি।
অল্পতেই সুখী হওয়া:
সবচেয়ে বড় কথা হল জীবনে সুখী হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমতাবস্থায়, বাবা শিবানন্দও বিশ্বাস করেন যে, তাঁর দীর্ঘায়ুর পেছনে অন্যতম কারণ হল কম সম্পদে সুখী হওয়া। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, মানুষের বেশি আকাঙ্ক্ষা থাকে উচিত নয়। এটা কারোর জন্য ভালো নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।