বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বকাপ ফাইনালের মাত্র চারদিন পরেই স্থির মাঠে নেমে পড়েছিল ভারতীয় দল (Indian Cricket Team)। তবে এবার সিনিয়র ক্রিকেটার নয়, মূলত তরুণ ক্রিকেটারদের দিয়েই সাজানো ছিল। তবে দিনের শেষে নজর কাটলেন দুই তারকা। বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা মুকেশ কুমার (Mukesh Kumar) এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে (KKR) নিয়মিত ফিনিশারের ভূমিকা পালন করা রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। ঈশান (Ishan Kishan) এবং সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) অসমাপ্ত কাজটা আজ শেষ করে ভারতীয় দলকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে (India vs Australia) পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় এনে দিলেন তিনি।
সূর্যকুমারের ভারতের রেকর্ড:
আজ টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে জস ইংলিশের শতরান (১১০) এবং স্টিভ স্মিথের অর্ধশতরানে (৫২) ভর করে ২০৮ রানের স্কোর তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ ওভারে মুকেশ কুমার অসাধারন বোলিং না করলে টার্গেট আরও বড় হতে পারতো। শুরুতেই দুই উইকেট হারালেও ভারতীয় দল রেকর্ড করে ২০৯ রানের টার্গেট তাড়া করে জিতলো। এর আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট এত রান তাড়া করে কোনওদিনও জয় পায়নি ভারত।
মুকেশের অসাধারণ ইয়র্কার:
এদিন অস্ট্রেলিয়ার রীতিমতো ছেলেখেলা করছিল ভারতের বোলিংকে নিয়ে। দুইজন ভারতীয় বোলার ৫০-এর বেশি রান খরচ করেন। কিন্তু এর মধ্যে অসাধারণ বোলিং করেন বাংলার মুকেশ কুমার। নিজের ৪ ওভারে তিনি মাত্র ২৯ রান খরচ করেন। শেষ ওভারগুলোতে তিনি যেভাবে ইয়র্কার ব্যবহার করেন তা বুমরার কথা মনে করিয়ে দিতে বাধ্য। তার জন্যই ২০৮ রানের মধ্যে অস্ট্রেলিয়াতে আটকাতে পেরেছিল ভারতীয় দল।
স্কাই ও ঈশানের অনবদ্য পার্টনারশিপ:
রাম তারা করতে নেমে ভারতীয় দল অতিরিক্ত আগ্রাসী হওয়া যশস্বী জয়সওয়াল এবং দুর্ভাগ্যবান রুতুরাজ গায়কোয়াড় ২১ রানের মধ্যে ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়ে ভারতের ওপর চাপ বাড়িয়েছিল। কিন্তু নিজেদের মধ্যে ১১২ রানের পার্টনারশিপ করে ভারতের যাবতীয় চাপ শেষ করে দেন সূর্যকুমার এবং ঈশান। বুদ্ধিদীপ্ত অজি বোলিং সামলে ৩৯ বলে ৫৮ রানের একটি মারকাটারি ইনিংস খেলেন ঈশান। সূর্যকুমার যাদব প্রমাণ করলেন তিনি কেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এক নম্বর ব্যাটার। ৪২ বলে নয়টি চার এবং আট চারটি ছক্কা সহ ৮০ দান করে তিনি ড্রেসিংরুমে ফেরেন।
ফিনিশার রিঙ্কু সিং:
সূর্যকুমার পরপর উইকেট হারিয়ে ভারতীয় দলের ওপর চাপ বেড়েছিল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য মাত্র ৭ রান বাকি ছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি নিয়ে যায় শেষ বল অবধি। শেষ ১ বলে প্রয়োজন ছিল ১ রানের। কিন্তু রিঙ্কু সিং কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে বলটি গ্যালারিতে ফেলে দেন। পরে দেখা যায় শন অ্যাবটের বলটি ছিল নো বল। ছক্কা না মানলেও ম্যাচটি জিতে যেত ভারত। তাই শেষপর্যন্ত ১৪ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এর হয় খেলা এই ফিনিশার কিন্তু প্রমাণ করে দেন যে তার ওপর এবার ভরসা দেখাতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট।