বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের পর এবার বিজেপির বিরুদ্ধে উঠল নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Corruption) অভিযোগ। হলদিয়ায় একাধিক শিল্পসংস্থায় চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩৯ জন বেকার যুবকের কাছ থেকে ৩২ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন এই বিজেপি নেতা (BJP Leader)। এই অভিযোগেই হলদিয়ার বিজেপি নেতা মোহনলাল মাইতির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মোহনলালবাবু চৌখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বলিবাড় বুথের বিজেপির সভাপতি পদে রয়েছেন। অন্যদিকে, বিজেপির চৌখালি পঞ্চায়েতের সহ–সভাপতি তিনি। পাশাপাশি গ্রাম কমিটির সম্পাদকও। অভিযোগ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে
৩২ লক্ষ টাকা তুললেও পরে চাপে পড়ে নিজের জমি বিক্রি করে ওই যুবকদের ২৩ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহনলালবাবু প্রথম জীবনে সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে তৃণমূলেও যোগ দেন তিনি। পরে আবার বিজেপিতে যোগদান করেন। অভিযোগ, এলাকার একাধিক শিল্পসংস্থা সহ রাজ্য সরকারী বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। বর্তমানে বিজেপি করা এই নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পূর্বে হলদিয়া শিল্পসংস্থায় রাজনৈতিক ক্ষমতায় এবং ইউনিয়নের নেতাদের হস্তক্ষেপে চাকরি হতো। তবে পরে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকার এই প্রক্রিয়ার বিলোপ ঘটান। রাজ্য তরফেও এই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করে কর্মসংবাদ পোর্টাল তৈরি করে নিয়োগ করা হয়। সূত্রের খবর, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে নিয়োগ পক্রিয়া বদল হতেই মাথায় হাত পড়ে বিজেপি নেতা মোহনলালের।
রাজ্য সরকারের গ্রুপ–ডি তে চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা প্রতারণায় অভিযোগে মোহনলাল–সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেন অশোক জানা প্রতারিত ব্যক্তি। তার দাবি ছেলের চাকরির জন্য মোহনলালকে ৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। এই মোহনলাল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলেও সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, মোহনলালের দাবি, ‘চাকরির জন্য অনেকে আমার কাছে এসেছেন। আমি অশোকবাবুকে সুতাহাটার দূর্বাবেড়িয়া গ্রামের একজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। উনি তাকে টাকা দিয়েছেন। আমি কোনও টাকা নিইনি।’ বর্তমানে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।