বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় আজ লকাউনের দ্বিতীয় দিন। একদিকে গোটা রাজ্য যখন ঘরবন্দি। তখন শাসক দলের নেতা-কর্মীরা জেলায় জেলায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কারণটা স্পষ্ট, সাতসকালে চেতলার বাড়িতে হানা দিয়ে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। নারদ কাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধেই ওনাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
এই গ্রেফতারের পর সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা মোর্চার সদস্যারা কলকাতা পুলিশের হেডকোয়ার্টার লালবাজারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা মহিলা সংগঠনের দাবি, সিবিআই বেআইনি ভাবে তৃণমূলের মন্ত্রী বিধায়কদের গ্রেফতার করেছে। তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে এনে পাকড়াও করেছে CBI।
আরেকদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত ধর্নায় বসেন সিবিআই দফতরে। এর পরেই নিজাম প্যালেসের সামনে শুরু হয় তৃণমূল সমর্থকদের জমায়েত। কার্যত সিবিআইয়ের আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে ইটবৃষ্টি করতে থাকেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক। পরিস্থিতি এই মুহূর্তে প্রায় রণক্ষেত্রে চেহারা নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই আদালতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-মন্ত্রীদের। সেই কারণেই এবার ভার্চুয়াল পদ্ধতির আশ্রয় নিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। জানানো হয়েছে, আদালতে গিয়ে কাগজপত্র জমা দেবেন আইনজীবীরা। অন্যদিকে নিজাম প্যালেসে বসেই ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ গ্রহণ করবেন ফিরহাদ, শোভন, সুব্রত এবং মদন মিত্ররা।