বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অস্বস্তি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra)। এক বিতর্ক থানতে না থামতে পুনরায় আরো এক বিতর্কের মুখোমুখি হয়ে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। সম্প্রতি ‘কালী’ বিতর্কে নাম জড়ায় মহুয়ার আর সেই বিতর্কের রেশ চলাকালীন আবার ‘মিস্টার গগৈ’ ইস্যুতে তৃণমূল সাংসদের সমালোচনার সরব হল বিভিন্ন মহল। এমনকি অসমে (Assam) তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর পর্যন্ত দায়ের করা হয়েছে। নেপথ্যে কারণ কি?
কয়েকদিন পূর্বেই ‘কালী’ ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে আসেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মা কালী-কে ‘মদ ও মাংসের দেবী’ বলে আখ্যা দেওয়ায় গোটা দেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে বাংলায় প্রতিবাদ করার পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আর সেই ঘটনা মাঝে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো ‘মিস্টার গগৈ’ বিতর্ক। এই ঘটনায় অসম নাগরিকদের অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংসদে বেশ কয়েকটি শব্দের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ সকল শব্দগুলি সংসদে উচ্চারণ করা যাবে না বলে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয় কেন্দ্রের তরফ থেকে। সেই প্রসঙ্গে প্রথম থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেন মহুয়া মৈত্র। বর্তমানে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে আক্রমণ করে বসেন তিনি। এক্ষেত্রে আদালতে প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গকে উল্লেখ করে মহুয়া মৈত্র টুইট করে লেখেন, “এবার থেকে যদি ‘যৌন হেনস্থা’ শব্দটির বদলে কিছু ব্যবহার করতে হয়, তবে ‘মিস্টার গগৈ’ বলা হবে।” আর এরপরেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক।
‘মিস্টার গগৈ’ উল্লেখের মাধ্যমে অসমে ‘গগৈ’ সম্প্রদায়ের সকল মানুষকে অপমান করা হয়েছে বলে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে থাকে। তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনার সরব হয় অনেকেই। যদিও এরপরে আরো একটি টুইট করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “প্রথম টুইটে আমি রঞ্জন গগৈকে বোঝাতে চেয়েছি।” তবে এরপরেও থেমে থাকেনি বিতর্ক। পরবর্তীতে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অসমের শিব সাগর এলাকায় এফআইআর পর্যন্ত দায়ের করা হয়। ফলে সব মিলিয়ে কালী বিতর্কের পাশাপাশি ‘গগৈ’ বিতর্কে নাম জড়ানোয় তৃণমূল সাংসদদের অস্বস্তি আরো বাড়ল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।