বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলায় একুশের নির্বাচনের ফল ঘোষনার দিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat)। তাঁর ভিডিও ও বক্তব্য সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে পারে এই অভিযোগ তুলে আগেই কঙ্গনার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর (FIR) দায়ের হয়েছে। এবার ফের আইনি প্যাঁচে পড়লেন অভিনেত্রী।
বাংলার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র ঋজু দত্ত নামে এক ব্যক্তি। উল্টোডাঙা থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং তাঁর এফআইআর গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, কঙ্গনা রানাওয়াত একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে তাঁর এমন কুরুচিকর মন্তব্য করেন ও বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে এমন ভুয়ো তথ্য ছড়ান তাহলে তা মানুষের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। সাম্প্রদায়িক অশান্তিরও সৃষ্টি হতে পারে এভাবে। সেই কারণেই তিনি আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানান ঋজু দত্ত।
সম্প্রতি বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেন কুইন অভিনেত্রী। নির্বাচনের পরে বীরভূমের নানুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে টুইট করেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে নিরাপত্তা দাবি করে তিনি লেখেন, বিজেপি কর্মীদের উপর প্রতিশোধ নিতে চেষ্টা করা ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে বাঁচতে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষ মাঠে নেমে এসেছে।
এই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতেই কঙ্গনা পালটা লেখেন, ‘এটা ভয়ঙ্কর। গুন্ডাইকে মারার জন্য আমাদের সুপার গুন্ডাই প্রয়োজন। উনি একজন ভয়াবহ দানবের মতো। তাঁকে আটকানোর জন্য ২০০০ সালের প্রথম দিকের বিরাট রূপটা দেখান মোদীজি।’
শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করে কঙ্গনা টুইট করেন, ‘বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে বড় শক্তি। ট্রেন্ড থেকেই বোঝা যাচ্ছে হিন্দুরা আর ওখানে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় নেই। আর তথ্য অনুযায়ী বাঙালি মুসলিমরা গোটা ভারতের মধ্যে সবথেকে বেশি দরিদ্র ও বঞ্চিত। ভাল, আরো একটা কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে।’
ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট চিরতরে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে। তবে তাতেও দমেননি কঙ্গনা। ফের একটি ভিডিও বার্তায় তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে এত ভয় কিসের? কেন্দ্রীয় সরকারকে তিনি আবেদন জানিয়েছেন বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।