বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর কাণ্ডে নয়া মোড়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। এবার এফআইআর পুলিশের। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা,মহিলাকে মারধর, শ্লীলতাহানি, হুমকি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
বিপাকে ব্রাত্যরা! (Bratya Basu)
গত পয়লা মার্চ থেকে সংবাদ শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যের অন্যতম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রক্ষিতে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ইন্দ্রানুজ রায়ের তরফে ইমেল মারফত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ, পুলিশ আহত ছাত্রের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও মামলা রুজু করেনি। এরপরই বুধবার এই নিয়ে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। ছাত্রদের আইনজীবী আদালতে জানান, “সাত জনের FIR-এ মিথ্যে দাবি করা হয়েছে। যারা ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তাদের সবার FIR নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ছাত্রদের কোনও এফআইআর নেওয়া হয়নি।”
এরপরই এফআইআর নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। পাশাপাশি এই বিষয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তার গাড়ির চালক, ওমপ্রকাশ মিশ্র সহ আরও বেশ কিছু জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কয়েকটি ধারাতে এফআইআর রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন: এই ভাবে প্রতারণা? চরম ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, ৬ মাসের ডেডলাইন বেঁধে দিলেন বিচারপতি
গতকাল হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মন্তব্য করেন, “যা ঘটেছে তা সহজেই এড়ানো যেত। পুলিশের গা ছাড়া মনোভাবের জন্যই এই বিপত্তি ঘটেছে।” রাজ্য পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বিচারপতি বলেন, সাদা পোশাকে পুলিশ তো থাকেই, এমন অনেক কাজই আপনারা করেন যেটার অনুমতি থাকে না। একপক্ষের বয়ানের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অপরপক্ষের বয়ান কেন নেই সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। পাশাপাশি এই মামলার সঙ্গে স্পেশাল ব্রাঞ্চকে যুক্ত করার কথা বলে হাইকোর্ট।