ভোররাতে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল মেচেদা বস্তি! ঘুমের ঘোরেই পুড়ে ছাই বাবা, মেয়ে! ঘরছাড়া বহু

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একে তো শীতের মরসুম। হিমেল আমেজ চারিদিকে। তার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা তো আছেই। ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা দুস্কর। এর মধ্যেই আগুন (Fire Accident) লেগে ছারখার হয়ে গেলো মেচেদার (Mecheda) রেললাইনের একটি পার্শ্ববর্তী বস্তি এলাকা। সূত্রের খবর, বস্তিটিতে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থাকায় এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গেলো। বিধ্বংসী আগুন মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ার জেরেই পুড়ে গেলো একের পর এক পোড়োবাড়ি ও ঝুপড়ি। আর ঘুমন্ত অবস্থায় ঝলসে মারা গেলেন (Died) বাবা (Father) ও মেয়ে (Daughter)।

দমকল (Fire Brigade) সূত্রে জানা গেলো যে, এই বিধ্বংসী আগুন লাগার ফলে বস্তিতে প্রায় ১৫টি ঘর বাড়ি পুড়ে ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু সবচেয়ে মর্মান্তিক যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি হলো ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হলো দুজনের, বাবা গোকুল কর (৫৫) ও মেয়ে মল্লিকার (১৭)। যদিও দমকলের দুটি ইঞ্জিন এলাকায় পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার প্রবল চেষ্টা করে, কিন্তু বস্তিটির প্রায় সমগ্র অংশই পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।

পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে যে, আগুন লাগার সময় ছিল প্রায় ভোর ৪:৩০টে এবং ওই ভোরবেলাতেই বস্তির কোথাও একজনের বাড়িতে রান্না হচ্ছিলো। মনে করা হচ্ছে সেখান থেকেই আগুন লাগে বস্তিতে। যদিও তা সঠিক কীনা এখনো প্রমাণ হয়নি। আগুন লাগার পরেই অঞ্চলে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বস্তির লোকজন নিজের প্রাণ বাঁচাতে ছুটে বেরিয়ে আসতে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ওই অসুস্থ বাবা আর মেয়ে আটকা পড়ে যান তাদের ঝুপড়ির মধ্যে এবং এইভাবেই তাদের মৃত্যু হয়।

এদিকে, আগুন লাগার পরেই কোলাঘাট থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। বস্তির একজন জানান যে, ভোরবেলাতে ঘুমের মধ্যেই হঠাৎ করে আগুন লেগে যায়। সেখানে প্রায় ২০- ২৫টি ঘর ছিল, যার মধ্যে প্রায় ১৫টি পুড়ে গেছে। একই সঙ্গে বস্তিবাসীদের কথায়, এতো বড় অগ্নিকান্ডে ক্ষতি হয়ে গেলো তাঁদের, এখন এই শীতের দিনে তাঁরা কোথায় যাবেন, কী করবেন কিচ্ছু জানা নেই।

 

 

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর