বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগুনের লেলিহান গ্রাসে পূর্ব বাংলাদেশের (Bangladesh) সুন্দরবনের কলমতেজী এলাকার ঘন জঙ্গল এলাকা। সূত্রের খবর, বন-সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা শনিবার সকালে জঙ্গলের টেপারবিল এলাকায় প্রথম ধোঁয়া লক্ষ্য করেন। এরপর দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস বিভাগ। তবে জঙ্গলের আশেপাশে জলের উৎস না থাকায় ২৪ ঘন্টা পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি দমকল কর্মীরা।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বাংলাদেশের (Bangladesh) সুন্দরবনে
আগুন যাতে পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেই উদ্দেশ্যে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ বনরক্ষীরা আগুনে চারপাশে ফায়ার লাইন কাটার কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশের (Bangladesh) বন দপ্তরের কর্মীদের কথায়, শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথম সুন্দরবনের (Sundarban) কলমতেজী এলাকায় আগুন লক্ষ্য করেন।
আরও পড়ুন : মাস গেলে কত মাইনে পান হাইকোর্টের বিচারপতিরা? টাকার অঙ্ক জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
খবর পাওয়ার পর দুপুরের মধ্যে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বাংলাদেশের শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা। পাশাপাশি রামপাল ও কচুয়া থেকে চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আগুন নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে। তবে পার্শ্ববর্তী এলাকায় জলের অভাব থাকায় কাজ শুরু করতে পারেননি দমকল কর্মীরা (Fire Brigade)।
আরও পড়ুন : ‘গোটা দল ওঁর…’! দিলীপ ঘোষ প্রসঙ্গে যা বললেন শুভেন্দু, তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের শরণখোলা স্টেশনের ইনচার্জ আবতাদ ই আলম জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল ও কচুয়া থেকে মোট চারটে ইউনিট। দমকল কর্মীরা জোয়ারের অপেক্ষায় রয়েছেন। আশা করা হচ্ছে রবিবার সকালের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে কাজ শুরু করে দেওয়া যাবে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কর্মকর্তা ফরেস্টার বিপুলেশ্বর দাস জানিয়েছেন যে, ঘটনাস্থলের আশেপাশে জলের উৎস নেই। বনের খাল থেকে দুই – আড়াই কিলোমিটার দূরের গহীন জঙ্গলে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। খালে জোয়ার এলে পাম্পের মাধ্যমে জলের ব্যবস্থা করা হবে। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করীম একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘সুন্দরবনে আগুন লাগার বিষয়টি জেনেছি। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সেখানে পৌঁছানোর পর আগুনের কী অবস্থা সে বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।’