বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত শুক্রবার থেকে সকলের নজর রয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Violence) দিকে। সেদিন দুপুরের পর থেকেই সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। তেতে ওঠে সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান (Dhuliyan) সহ একাধিক এলাকা। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই আবহে ফের ধুলিয়ানে আগুন জ্বলল। পুড়ে ছাই হয়ে গেল তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার দাদার দোকান।
কোন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার দাদার দোকানে আগুন?
বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে এদেশের নানান প্রান্তে প্রতিবাদ হচ্ছে। বাংলাও ব্যতিক্রম নয়। এর জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে একাধিক জায়গা। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি এতটাই অশান্ত হয়ে উঠেছিল যে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। গত শনিবার এই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপর সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে থাকলেও নতুন করে কোনও অশান্তির খবর আসেনি। তবে এবার জানা গেল, ধুলিয়ানে তৃণমূল নেতার দাদার দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) পরিচালিত ধুলিয়ান পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হলেন সুমিত সাহা। তাঁর দাদা প্রবীর সাহার কসমেটিক্সের দোকান রয়েছে। ধুলিয়ান পুরসভার ৫ নং ওয়ার্ড স্থিত এই দোকানেই দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। ব্যবসায়ীর পরিবারের সন্দেহ, এদিন সকালে দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বুধেই WAQF নিয়ে একাধিক আর্জির শুনানি সুপ্রিম কোর্টে! এ রাজ্য থেকে কে কে আবেদন করেছেন জানেন?
জানা যাচ্ছে, দোকান থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে প্রবীরের বাড়ি। তিনি এদিন দোকানে এসে দেখেন সব শেষ! কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিচ্ছে, সঙ্গে রয়েছে পুলিশও। তা সত্ত্বেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? মাথাচাড়া দিয়েছে এই প্রশ্ন।
এদিকে অশান্ত মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) যাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ দল তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ৩ সপ্তাহের মধ্যে কমিশনে তদন্ত রিপোর্ট জমা করতে হবে।
অন্যদিকে ধুলিয়ানে যেতে চেয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এদিনই সেই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা। এই আবহে জানা গেল, ফের ধুলিয়ানে আগুন জ্বলেছে। এবার পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতার দাদার দোকান।