ভবানীপুর জোড়া খুনের কিনারা, সাফল্যের পর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের তুলনা ফিরহাদের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি খাস কলকাতার ভবানীপুরে খুন হয়েছেন গুজরাটি দম্পতি। আর দিনেদুপুরে কীভাবে এই খুন হল তার কিনারা করতেই আসলে নামে কলকাতা পুলিশ। ভবানীপুরে ঘটে যাওয়া হত্যার ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে শহরজুড়ে, এমনকি তিলোত্তমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তদন্তের তদরকিতে মাঠে নামেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এমন নৃশংস হত্যার মূল চক্রীর সন্ধান শুরু করতেই কলকাতা পুলিশের অভাবনীয় সাফল্য আসে। অবশেষে বুধবার রাতভর তদন্ত করার পর পুলিশ গ্রেফতার করে দুই সন্দেহভাজনকে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের জালে ধরা পড়েন আরও এক জন। ‘পুলিশ খুনীদের ধরতে পেরেছে’- এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই উচ্ছ্বসিত হন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুলিশের সাফল্যে পরিবহন মন্ত্রী তাদের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনাও করেন।

ভবানীপুর জোড়া খুনের কিনারা করায় ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম কলকাতা পুলিশ বেস্ট। আমি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সাথে তুলনা করেছিলাম।” শুধু তাই নয়, কলকাতা পুলিশ অতি দ্রুত নিজেদের কাজে সফল হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মেয়র। তবে, শুধুমাত্র ফিরহাদ হাকিমই নন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কলকাতা পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। মেয়রের মতো তিনিও রাজ্য পুলিশকে একেবারে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করলেন। যদিও, বিরোধীরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুলিশের সঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছেন। এর পাশাপাশি, পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন চোখ কান খোলা রেখে কাজ করার জন্য। এমনকি, পুলিশের যে কিছু ভুলভ্রান্তি রয়েছে সেকথাও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘শুধুমাত্র একটা দুটো ঘটনার জন্য পুলিশকে গালাগালি দিলে হবে না।

kolkata police fb 021516020932

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পুলিশ এ ঘটনায় ধৃতদের নাম প্রকাশ করেছে। কলকাতা পুলিশ রত্নাকর নাথ, সুবোধ সিংহ ও যতীন মেহতা নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, পুলিশ যে তদন্তের জাল ধীরে ধীরে গোটাতে শুরু করেছে তারও ইঙ্গিত মিলেছে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর