বাবলু প্রামাণিক ,বারুইপুর
উন্নয়নের ফিরিস্তিতেই পালিত হয়েগেল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুর পুরসভার ১৫০ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান।১ সেপ্টেম্বর বারুইপুরের রবীন্দ্রভবনে এক বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এদিনের অনুষ্ঠান পালিত হয়।অনুষ্ঠানে মুখ্য আকর্ষন ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরন্নোয়ন মন্ত্রী তথা কোলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ ববি হাকিম ও বিধানসভার স্পিকার তথা বারুইপুর দক্ষিণের বিধায়ক বিমান ব্যানার্জী।
এছাড়াও উপস্হিত ছিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জী,বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তিপদ রায়চৌধুরী,উপ পুর প্রধান গৌতম দাস,বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক নির্মল মন্ডল,সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী,জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ আবু তাহের সর্দ্দার,জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ জয়ন্ত ভদ্র প্রমুখ।অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক ভাষনে পুর চেয়ারম্যান শক্তিপদ রায় চৌধুরী বিগত বছরগুলোতে তৃণমুল পরিচালিত পুরবোর্ডের উন্নয়নের একাধিক খতিয়ান পেশ করে বলেন,বাম আমলের বারুইপুর পুর এলাকার থেকে এখনকার বারুইপুর পুর এলাকা আশমান জমিন ফারাক হয়ে গেছে।তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় তার প্রদর্শিতৎপথেই এই পুরসভা মানুষের জন্য কাজ করূ চলেছে যেখানে বিদ্যুত,থেকে রাস্তাঘাট,স্বাস্হ্য পরিষেবা,ডেঙ্গু প্রতিরোধে লাগাতাড় সচেতনতা সবই হয়েছে উল্লখযোগ্যহারে।তিনি বলেন বারুইপুর মানেই একসময় যানজোট আর নোংরা আবর্জনার শহর বলে মানুষ মনে করত আর আজ সেই বারুইপুর আলো ঝলমল এক ক্লিন সিটিতে পরিনত হয়েছে যেকারনে এখানে কঠরভাবে প্লাসটিক ব্যবহারে বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে।
এইদিন বিদ্যুত মন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জী থেকে বিধায়ক বিমান ব্যানার্জী,সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী এবংসবশেষে পুরমন্ত্রী ফিরাদ ববি হাকিম এদের সবার গলাতেই ছিল বারুইপুর পুরসভার সফল কর্মযজ্ঞ নিয়ে ভুয়ষী প্রশংসা।যদিও এরই মাঝে একবার মিনিট তিনেক গোটা মঞ্চের বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে দেখা যায় তখন বক্তব্য রাখছিলেন মন্ত্রী ববি হাকিম।যদিও তিনি এই দিন মঞ্চ থেকেই বেশ কিছু প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের কথা ঘোষনা করেন যা আগামী দিনে বারুইপুর পুর এলাকার উন্নয়নে আরো সহযোগিতা করবে।এদিন আরো একটা উল্লখ্য বিষয় হল হলে উপস্হিত তৃণমুল কর্মীদের হার।যাদের মধ্যে বেশির ভাগই এসেছিলেন তৃণমুলের নব নির্বাচিত সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে দেখার নেশায়।