বিজেপির ৩৬ জন বিধায়ক তৃণমূলে আসতে পারেন! তালিকায় কারা? বিরাট দাবি ফিরহাদের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন এখন থেকে বঙ্গ রাজনীতিতে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। আসন্ন নির্বাচনের আগে প্রত্যেকেই নিজের মতো করে রণকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত এখন। একুশের মতো ছাব্বিশের ভোটকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছেন, ‘আগামী বছর বাংলায় পালাবদল হবেই। তৃণমূল আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না।’ পাল্টা আক্রমণে বিঁধলেন কলকতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

বিরাট ভবিষ্যদ্বাণী করলেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)

প্রসঙ্গত সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন হলদিয়ার বিধাযক তাপসী মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির ভাঙন নিয়ে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। সোমবার শুভেন্দুকেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বড় মন্তব্য করে দিলেন ফিরহাদ। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, দলবদলের এই তাপসী ছাড়াও তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন বিজেপির আরও কয়েকজন বিধায়ক।

জল্পনা উস্কে দিয়ে এপ্রসঙ্গে এদিন ফিরহাদ (Firhad Hakim) বললেন,’ওদের অনেকেই আসতে চাইছেন। এভাবে চলতে থাকলে একটা দিন হবে যেদিন শুভেন্দুর বিরোধী দলনেতার পদটাও থাকবে না! কারণ, বিজেপির ওই মর্যাদাটাই থাকবে না!’

আরও পড়ুন: দল থেকে বহিস্কৃত! এদিকে অভিষেকের ভার্চুয়াল বৈঠকে হাজির শান্তনু, কিভাবে যোগ দিলেন?

প্রসঙ্গত একুশের নির্বাচনে মোট ৭৭টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। পরে কমতে কমতে তা ৬৫তে দাঁড়ায়। উলেখ্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে গেলে মোট ২৯৪টি আসনের  মধ্যে ন্যূনতম ৩০টি আসন পাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু ফিরহাদের দাবি অনুযায়ী, খুব তাড়াতাড়ি বিজেপির অন্তত আরও ৩৬ জন বিধায়ক তৃণমূলে চলে আসতে পারেন।

suvendu adhikari firhad hakim

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে থাকা ওই বিজেপি বিধায়কদের তালিকায় কারা আছেন? সেই জল্পনা উস্কে দিয়েই ফিরহাদ এদিন বললেন, ‘দরজা খুললে তো ওরা পুরোপুরি খালি হয়ে যাবে।’

ফিরহাদ হাকিমের আরও সংযোজন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে উন্নয়নের সঙ্গে আছেন তাতে বিরোধীদের লড়াই করার জায়গা নেই। বিজেপির সদস্যরাও একান্তে আমাদের বলছেন, তাঁরা মমতাদির উন্নয়নের সঙ্গে আছেন। যে কারণে বিরোধী দলের অনেকেরই আর আন্দোলনে উৎসাহ নেই।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর