বাংলাহান্ট ডেস্ক : রবিবার একই দিনে খুন হয়েছেন রাজ্যের দুই কাউন্সিলর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল বিধানসভা থেকে শুরু করে রাজ্য রাজনীতি। ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের ঘটনার জেরে ওয়াক আউট করছেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি ঝাড়খন্ড বর্ডার দিয়ে রাজ্যে ঢুকছে সুপারি কিলাররা। স্বভাবতই এহেন মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য জুড়ে।
এদিন এই খুন প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এভাবে আমাদের মেরে শেষ করা যাবে না। আততায়ীদের দিয়ে বারবার তৃণমূলের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। যারা এই কাজ করছে তাদের ধিক্কার জানাই। একই সঙ্গে শীঘ্র বিচার এবং তদন্তের দাবি করছি আমি। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘পানিহাটি এবং ঝালদাতে একই ঘটনা ঘটেছে। যা হয়েছে তা অন্যায়। আমি এই বিষয়ে ফোনে কথা বলেছি। ঝাড়খন্ডের বর্ডার থেকেই কনট্র্যাক্ট কিলাররা রাজ্যে প্রবেশ করছে। পুলিশকে এই বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।’
এই খুনিদের কাছে কোথা থেকে এল আগ্নেয়াস্ত্র তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ফিরহাদ হাকিম। পানিহাটির খুনের পিছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে, রাজনীতি নাকি ব্যক্তিগত বচসা তা এখনও পরিষ্কার নয়। মনে করা হচ্ছে জলাভূমি ভরাটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সক্রিয়তা দেখানোতেই খুন হতে হয়েছে পানিহাটির কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে। সম্পূর্ণ ঘটনাটির তদন্ত করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতেই মৃত অনুপম দত্তের বাড়ির পিছনের বস্তি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আততায়ী শম্ভুনাথ পন্ডিতকে। এদিন রাতে এলাকায় চিরুনী তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেই সময় একটি হোগলার বনে গা ঢাকা দেয় খুনি। শেষমেষ পুলিশ সেই হোগলা বনে আগুন লাগিয়ে দিলে প্রাণের ভয়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয় সে। তাকে জেরা করে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্যই উঠে এসেছে বলে দাবি পুলিশের।