“পুলিশ তো বাধা দেবেই, আপনারা ডিআই অফিসে যাবেন কেন?” লাঠিচার্জের “ব্যাখ্যা” ফিরহাদের

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বুধবার কসবার ডিআই অফিসে নিরস্ত্র চাকরিহারা শিক্ষকদের উপরে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় প্রতিবাদ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে (Firhad Hakim)। যাঁরা শিক্ষাদান করে ভবিষ্যতের সমাজ গড়ে তোলেন, তাঁদের আজ লাথি, গলাধাক্কা খেতে হচ্ছে! শিক্ষার এই অপমানে ফুঁসে উঠেছে বিভিন্ন মহল। এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন মেয়র ফিরফাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তাঁর পালটা প্রশ্ন, শিক্ষকরা ডিআই অফিস দখল করতে যাবেন কেন? মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন স্কুলে যেতে। নথি লোপাট হলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করবে। শিক্ষকদের নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন কলকাতার মেয়র।

শিক্ষকদের উপরে লাঠিচার্জের ঘটনায় মন্তব্য ফিরফাদ হাকিমের (Firhad Hakim)

বৃহস্পতিবার কেওড়াতলাতে প্রফুল্ল সেনের জন্মদিবস উপলক্ষে মাল্যদান করেন ফিরফাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তখনই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বুধবারের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। মেয়র অবশ্য দাবি করেন, তিনি জানেন না কী হয়েছে, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যখন শিক্ষকদের বলেছেন স্কুলে যেতে, তখন তারা সরকারি দফতর, ডিআই অফিস দখল করতে যাবেন কেন? মেয়রের কথায়, “এখানে ডিআই অফিস দখল করে, অরাজকতা করে তাঁরা তো নিজেদের কেসটাকেই উইক করছেন। ডিআই অফিস দখল করে যদি কোনো ফাইলপত্র লোপাট করেন, ছিঁড়ে যায়, তখন তো সুপ্রিম কোর্টই বলবে, আপনারা ইচ্ছা করে সেটা করেছেন”।

Firhad hakim comment on police teachers issue in kasba

বিরোধীদের কটাক্ষ মেয়রের: মুখ্যমন্ত্রীর উপরে ভরসা রাখতে বলে ফিরহাদের (Firhad Hakim) পরামর্শ, শিক্ষকতা করার কাজ, শিক্ষকতা করুন, স্কুলে যান। যাঁরা প্ররোচনা দিচ্ছেন, তাঁরা আসলে ক্ষতিই করছেন। মুখ্যমন্ত্রী যখন বলেছেন, এই লড়াইটা তাঁর, তখন তাঁর উপরে ভরসা রাখুন। একই সঙ্গে বাম-বিজেপিকেও কটাক্ষ শানাতে ছাড়েননি মেয়র। “সুজনবাবু-সুকান্তবাবু-শুভেন্দুবাবু কেউ কিছু করতে পারবেন না। আর বিকাশ বাবু তো যা ক্ষতি করার করে দিয়ে চলে গিয়েছেন। এমন কিছু করবেন না যাতে আপনাদের উপরে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আসে”, বক্তব্য ফিরফাদ হাকিমের।

আরো পড়ুন : মহাষ্টমীতে গোমাংস রাঁধার কথা বলে বিতর্কের কেন্দ্রে, সেই দেবলীনাকেই সম্মানিত করল RSS! তুঙ্গে বিতর্ক

শিক্ষকদের উপরে লাঠিচার্জ পুলিশের: বুধবার ডিআই অফিসে গিয়ে কার্যত গলাধাক্কা খেতে হয়েছে চাকরিহারা শিক্ষকদের। পড়েছে লাঠির মার। কিন্তু মেয়রের (Firhad Hakim) পালটা প্রশ্ন, শিক্ষা দফতরে গিয়ে ভাঙচুর করবেন, ফাইল ছিঁড়ে ফেলে দিন, এসব কখনো পুলিশ বলতে পারে? পুলিশ তো বাধা দেবেই। মুখ্যমন্ত্রী যখন বলেছেন, তখন স্কুলে যান। সুজন বাবুর বন্ধু বিকাশ ভট্টাচার্যের জন্যই এত বড় বিপদ, দাবি মেয়রের। সুপ্রিম কোর্টে বড় বড় আইনজীবী দিয়ে লড়তে হবে, ওটাই মূল কাজ। এখানে আন্দোলন করে কিছু হবে না। ১৯-২০ জন যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদের জন্য বাকিদের ক্ষতি হয়ে যাবে, স্পষ্ট কথা তাঁর।

আরো পড়ুন : ‘যোগ্যদের নির্ভুল তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব’, স্বীকার খোদ SSC চেয়ারম্যানের? ঘুরবে মোড়?

আমরণ অনশনে যাঁরা বসেছেন তাঁরা আসলে ‘ছবি তোলার” জন্য বসেছেন বলে কটাক্ষ করেন ফিরহাদ। শুধু তাই নয়, তিনি আরো দাবি করেন, শিক্ষকদের নিয়ে আগেও রাজনীতি হয়েছে, এখনো হচ্ছে। আর পুরোটাই বাম এবং অতি বামদের খেলা বলে মন্তব্য করেন মেয়র।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

X