বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুমাস ধরে একের পর এক দুর্নীতির ইস্যু সামনে আসায় কঙ্কালসার দশা রাজ্যের। একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দলের বহিষ্কৃত মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলাতেই জেলবন্দি তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক। জেলবন্দি পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, হুগলীর যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, শান্তনু ব্যানার্জী।
অন্যদিকে, দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়াদের তালিকায় একের পর এক শাসক দলের (Trinamool Congress) পরিজনেরা। আদালতের নির্দেশে অনিয়ম করে পাওয়া চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রীর ভাই, তৃণমূল নেতার স্ত্রী, বিধায়কের মেয়ে থেকে শুরু করে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝি। এ তো গেল শুধু নিয়োগ দুর্নীতি।
অন্যদিকে, গরু পাচার কাণ্ডেও মুখ পুড়েছে শাসলদলের। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছের লোক অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি। বর্তমানে বাংলার গন্ডি পেরিয়ে দিল্লিতে ইডি হেফাজতে তিনি। একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে লাগাতার জড়িয়েছে শাসকদলের নাম। যা নিয়ে তৃণমূলকে বিধঁতে বিন্দুমাত্র দেরী করছেনা রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। তবে এই সব কিছুর পরও দলের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস গঙ্গার মতো পবিত্র। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ‘নিষ্পাপ’ বলেও এদিন মন্তব্য করেন তিনি।
ঠিক কী বললেন তিনি? রবিবার মোমিনপুরে এক রাস্তা পরিদর্শনে যান ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বচ্ছ, নিষ্পাপ। বাংলার মানুষ তাকে বিশ্বাস করেন। সংসার ধর্ম না করে মানুষের আন্দোলন করেছেন তিনি। সারা জীবন মানুষকে অর্পণ করে দিয়েছেন। মানুষের আন্দোলন করতে গিয়ে বারবার মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে এসেছেন। তার সঙ্গে কারও তুলনা চলে না’।
শুধু তাই নয়, এরপর জোর গলায় তিনি বলেন, ‘কোনও ব্যক্তির জন্য দলের বদনাম হয় না। দল গঙ্গার মতো। গঙ্গায় তো কত নালা এসে পড়ে, তাই বলে গঙ্গা কি নালা হয়ে যায়?’ ডিএ আন্দোলন নিয়েও এদিন মুখ খোলেন মন্ত্রী। বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীরা বেশি বেতন পেলে আমরা খুশি হব। কিন্তু যদি টাকা না থাকে তাহলে মারধর করলেও আমাদের থেকে কোনো টাকা বেরোবে না।’