বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নারদ কাণ্ডে জামিন পেয়েই কাজে লেগে পড়েছেন পুর ও পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর (Mamata Banerjee) নির্দেশ পেয়েই পৌঁছে গেলেন মালদহে (Maldah) মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন, নিহতদের পরিবারের হাতে।
করোনা আবহে পেটের তাগিদে তিন সপ্তাহ আগেই উত্তরপ্রদেশে কাজের খোঁজে গিয়েছিলেন ১২ জন শ্রমিক। তাঁরা সকলেই উত্তরপ্রদেশের বারাণসী জেলার বাসাসামিত এলাকায় মন্দির নির্মানের কাজে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে প্রাণ হারালে ২ জন শ্রমিক। অর্থ উপার্জনের আশায় বাড়ি ছাড়াটাই যেন কাল হয়ে দাঁড়াল তাঁদের জীবনে। বাকি আহতদের কাশির কবিচূঁড়া হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
মৃত শ্রমিকরা মালদহ কালিয়াচকের আলিপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শেরশাহি গ্রামের বাসিন্দা। বছর ৪০-এর আমিরুল মোমিন এবং ৩০ বছর বয়সী এবাদুল মোমিনকে অকালেই হারিয়ে, তাঁদের পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর কথামত তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন ফিরহাদ হাকিম। নিজেই পৌঁছে গেলেন নিহতদের বাড়িতে। তুলে দিলেন আর্থিক সাহায্য। গিয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূরও।
ফিরহাদ হাকিমকে বাড়িতে আসতে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতদের পরিবারের লোকজন। তাদেরকে আর্থিক সাহায্য করার পাশাপাশি পাশে থাকার বার্তাও দিলেন। এপ্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানালেন, ‘কাশীতে কাজে গিয়ে ঘুমানোর সময় ছাদ ভেঙে দুর্ঘটনার কবলে পরা শ্রমিকরা বাংলার ছেলে। তাই মুখ্যমন্ত্রী এদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি, তাঁদের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই আমি এখানে এসেছি’।