বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীরভূমের হিংসার ঘটনার পিছনে বৃহত্তম ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেলেন ফিরহাদ হাকিম। এদিন বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম পরিদর্শন করার পর তিনি বলেন, বাংলার সরকারকে বদনাম করার জন্য বৃহত্তম ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি জানান, এই ষড়যন্ত্রের তদন্তে রাজ্যের তরফ থেকে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করা হয়েছে। যারাই যুক্ত থাকুক না কেন, তাদের শাস্তি হবেই।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমাদের লোকের প্রাণ গিয়েছে। যেই বাড়িতে আগুন লেগেছিল, সেখানে ফরেন্সিক তদন্ত চলার কারণে আমি ঢুকতে পারিনি। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে না কী অন্য কোনও কারণে এই অগ্নিকাণ্ড, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্ত পুরো হওয়ার পর সমস্ত কিছু পরিস্কার হবে। এদিন ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি এই বিষয়ে কিছু বলেননি। যদিও, এর আগে তিনি শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন।
অন্যদিকে, বীরভূমের বগটুই গ্রামে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে ইতিমধ্যে ‘ গণহত্যা” বলে আখ্যা দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বলে দিই, ওই গ্রামে ১০ জনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। যদিও, সরকারি মতে ৬ জনারই মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মৃতদের দেহর অবস্থা এতটাই খারাপ যে, তাঁরা মহিলা না পুরুষ সেটা চেনাও দুষ্কর। দমকল বাহিনীর ঘাম ছুটেছে সেই মৃতদেহগুলি উদ্ধার করতে। আর এরই মধ্যে মহম্মদ সেলিম দাবি করেছেন যে, সিপিএমের জয়ের কারণেই তৃণমূলের নেতারা একে অপরকে মেরেছেন।
সেলিম বলেন, রামপুরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। আর এই কারণেই তৃণমূলরা তৃণমূলদের মারছে। সেলিম বলেন, ‘তৃণমূল নেত্রী বিরোধী শূন্য করতে গিয়ে এখন তৃণমূলকে শূন্য করছেন। তিনি বলেন, বগটুই গ্রামের তৃণমূল কর্মীদের পুরসভার নির্বাচনে ভোট লুঠ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরেও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী জিতেছেন, এই কারণেই এই হামলা হয়েছে।