বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর শেষেই বড় সিদ্ধান্ত। হিডকোর চেয়ারম্যানের (Hidco Chairman) পদ থেকে সরানো হয়েছে কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের পুর ও নগরেন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim)। সম্প্রতি ‘সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু’ মন্তব্য করে বিতর্কের শিরোনামে বড়সড় জায়গা করে নিয়েছিলেন ফিরহাদ ওরফে ববি। শোনা গিয়েছিল ‘প্ৰিয়’ ববির সেই মন্তব্যের পর তাকে বকুনি দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এক ‘পদহারা’ ফিরহাদ।
বৃহস্পতিবারই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, আপাতত হিডকোর দায়িত্ব থাকবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাতে। সব কাজ নিজেই দেখবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ফিরহাদ বিতর্কের আবহেই তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এবার এই ইসুতে মুখ খুললেন ফিরহাদ।
শুক্রবার ছিল টক টু মেয়র। তারপর কলকাতা পুরসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ফিরহাদ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত। আমাকে দিয়েছিলেন দায়িত্ব, এখন উনি নিয়ে নিয়েছেন। এটা গুঞ্জন নেই। এটা কিছু নেই, এটা ক্যাবিনেটেড ডিসিশন। উনি কোন কারণে নিশ্চয়ই নিয়েছেন। এর মানে এটা নয় যে সাইড করা বা সরিয়ে দেওয়া। দলের অনুগত সৈনিক। দল যে কাজ দেবে, নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা দেবেন সেটাই আমি মাথা পেতে নেব। দলের প্রথম দিনের সৈনিক।’
বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে বাংলার সিংহাসনে বসে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরেই হিডকোকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপর থেকে প্রায় ১৪ বছর পদাধিকারবলে হিডকোর চেয়ারম্যান ছিলেন ফিরহাদই। এবারে তা বদলালো।
আরও পড়ুন: DA নিয়ে টানাপড়েন! ৬ বছরে মামলাকারীদের কত খরচ? টাকার অঙ্ক শুনলে মাথা ঘুরে যাবে
হঠাৎ কেন সরানো হল ফিরহাদকে? ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, সম্প্রতি ফিরহাদের করা সংখ্যালঘু মন্তব্যের কারণেই দলের এহেন পদক্ষেপ। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দিঘাতে যে জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে তা হিডকোর অধীনে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই বিষয়ে ফিরহাদকে নিয়ে যাতে নতুন করে কোনো সমস্যা না দেখা দেয় সেই কারণেই হয়তো হিডকোর পদ থেকে ফিরহাদকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।