বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাত পেরোলেই আরজিকর কাণ্ডের (RG Kar Case) রায় ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর রায় ঘোষণা হতে চলেছে কলকাতার চিকিৎসক পড়ুয়া-তরুণীর নির্মম ধর্ষণ-হত্যা কাণ্ডের। আরজিকর কাণ্ডের শুরু থেকেই সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেই ওই নারকীয় ঘটনার একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে ধরা হয়েছে। সেই হিসাবেই এগিয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া।
RG Kar কাণ্ডের রায় ঘোষণার আগেই বড় মন্তব্য ফিরহাদের (Firhad Hakim)
ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবে আদালত। এরইমধ্যে আরজিকার কাণ্ড নিয়ে নানা মহল থেকে আসতে শুরু করেছে প্রতিক্রিয়া। এপ্রসঙ্গে এবার প্রতিক্রিয়া জানালেন খোদ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
আগামীকাল অভয়ার রায়দান প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন ববি হাকিম (Firhad Hakim)। অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে কলকাতার মেয়র এদিন বললেন, ‘আমি চাই অভিযুক্তকে আদালত কঠোরতম শাস্তি দিক। ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ এই কাজ করতে না পারে। আমি মানতে চাই বা আপনারা চান, আইন তো আইনের পথেই চলবে। মিডিয়া ট্রায়াল একরকম হয়, আবেগের মিছিল একরকম হয়। কিন্তু,আইন-এজেন্সি আদালতে যা পেশ করে তা তথ্য নির্ভর হতে হয়।’
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভের এই সুন্দরী সাধ্বী কে জানেন? RG Kar কাণ্ডের সাথে কি যোগসূত্র তাঁর?
ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) এদিন আরও বললেন, ‘আমার,আপনার টিভির কথায় তো এভিডেন্স হবে না। আরজি করে ১৪ ই ১৫ ই আগস্ট যারা হামলা চালিয়েছে তাদের অনেকেই অ্যারেস্ট হয়েছে। তাদের অনেকের কাঁধে ডি ওয়াই এফ আই এর ফ্ল্যাগ ছিল।’ প্রসঙ্গত আরজিকর কান্ডের পর রাজ্যের শাসক দলের ভাবমূর্তির উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। যদিও তার প্রভাব পড়েনি রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে। ভোটের ফলাফলের পর সেই ছবিটা ভীষণ স্পষ্ট। বছর ঘুরলেই রাজ্যে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই এবার অভয়ার অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, আগামীকাল আরজিকর কাণ্ডের রায় ঘোষণার আগে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের জীবনযাত্রায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। রায় ঘোষণার আগে তাকে একটি বিশেষ সেলে রাখা হয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে অভয়ার মৃত্যুর জন্য দায়ী সঞ্জয় নাকি ইতিমধ্যেই খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। ওষুধও মুখে তুলতে চাইছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেল আধিকারিককে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, সঞ্জয়ের সেলে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে।