বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চারদিন পরেও অবস্থার কোনো বদল নেই! ধীরে ধীরে আরও আতঙ্ক বাড়ছে বেলগাছিয়ার বাসিন্দাদের। জলসংকট ছিল আগেই। আর এবার ভয় ধরাচ্ছে অস্তিত্ব সংকট। পুনর্বাসনের দাবিতে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছেন বেহালার ঘরহারা বাসিন্দারা। এলাকাবাসীদের দাবি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) আগামী তিন দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে নবান্ন ঘেরাও-এর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বেলগাছিয়ার ঘরহারাদের কি বললেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)?
শুক্রবার সকালে হাওড়ার ভাগাড় অঞ্চলে মেরামতির কাজ চালাকালীন হঠাৎ ঘটে যায় বিপত্তি। নতুন করে ধ্বস নামায়, চাপ পড়ে ফেটে যায় পানীয় জলের মূল পাইপ লাইন। যার ফলে আগে থেকেই হাওড়ার লিলুয়া, বেলগাছিয়া, সি রোড, বি রোড-সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জলসংকট দেখা যায়। বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ধ্বস নামার জেরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভাগাড়ের ঠিক পিছনেরঝিলের ধারের ১৫ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি। ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরী হয় গোটা এলাকায়। সেই সাথে ভেঙেছে আরও একাধিক বাড়ি। কংক্রিটের রাস্তা ভেঙে ১০ ফুট উঁচুতে উঠে গিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, প্রায় কয়েক বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে ঝাঁঝালো লো মিথেন গ্যাসের গন্ধ।সোমবার সকালে এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। স্থানীয়রা জানিয়েছেন এদিন সকালে প্রশাসনের লোকরা এসে তাঁদের কাছে কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলেন। তবে এবার তাঁদের আশঙ্কা হয়তো এলাকা থেকে তাঁদের তুলে দেওয়া হতে পারে। আর এই কারণেই এবার অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন বেলগাছিয়ার মানুষজন।
আরও পড়ুন: বিচারপতির বাড়িতে টাকার স্তুপ! এবার সরব হলেন অভিষেক, বললেন, মানুষই…
আজ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করে ফিরহাদ (Firhad Hakim) জানিয়েছেন, তিন দিনের সমস্যা মেটানো হবে। আর তাতেই আপাতত কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হয়েছেন তাঁরা। ফিরহাদের কথায়,’তিন চার দিন সময় লাগবে। বিকল্প কোথাও একটা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পৌরসভা চিরকালই ঘর করে দিচ্ছে।’ তারপরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে পুরমন্ত্রী এদিন বললেন, ‘এই টাকা তো কেন্দ্র দিচ্ছে না। নিজেদের ফান্ড দিয়েই করছে। ওদেরও ঘর করে দেব। কিন্তু ওখানকার মাটিটাই ভারসাম্য ধরে রাখতে পারছে না। তাই অন্য কিছু একটা চিন্তা করতে হবে। আজ অফিসে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, খোলা জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে।’
পুরমন্ত্রীর আশ্বাস বাণী শোনার পর স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘আমাদের বললেন, তিন দিন সময় দিতে। আমরা দিলাম।’ অপর একজন মহিলার কথায়, ‘তিন দিনের মধ্যে কিছু না হলে, তারপর আমরা দেখিয়ে দেব। রাস্তায় বসে পড়ব। নবান্না ঘেরাও করব আমরা। আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিক।’