বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অন্যতম বিশ্বস্ত সৈনিক বলেই পরিচিত রাজ্যের রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বিগত কিছুদিন ধরেই শিরোনামে রয়েছেন তিনি। বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তাঁকে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি বঙ্গ রাজনীতিতে। সমালোচনা হয়েছে শাসক-বিরোধী সমস্ত শিবিরেই।
বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব এসেছিল ফিরহাদের (Firhad Hakim) কাছে
তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মাঝে,দলের মধ্যেই ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)। সম্প্রতি দলের ভিতর থেকেও নানান হামলা সামলাতে হচ্ছে তাঁকে। এরই মধ্যে তাঁর কাছে প্রস্তাব এল বিজেপিতে যোগদানের। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার সাংবাদিক বৈঠক থেকে এমনই এক বিস্ফোরক দাবি করলেন ফিরহাদ। নিজের মুখেই এদিন বিজেপির ‘ফোন কলের’ কথা জানিয়েছেন তিনি।
অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারও কলকাতা পুরসভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বেশ খোশ মেজাজেই ছিলেন মেয়র (Firhad Hakim)। সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের উত্তরও দিচ্ছিলেন হাসিমুখে। তখনই এক সাংবাদিক তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখেন বিজেপির সদস্যতা অভিযান নিয়ে। জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘আমার কাছে একটা ফোন এসেছিল, বলল বিজেপির সদস্য হবেন? তাহলে যোগাযোগ করুন হোয়াটসঅ্যাপে। আমি, বিজেপির বিরুদ্ধের লোক বলে ফোনটা ছেড়ে দিলাম।’
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় মোড়! ‘কালীঘাটের কাকু’কে নিয়ে বড় নির্দেশ দিয়ে দিল আদালত
ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) এই মন্তব্যের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিরাট জল্পনা। লাগাতার দলে কোণঠাসা হওয়ার মধ্যেই তাঁর এই প্রকাশ্য স্বীকারোক্তিতে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। বলা হচ্ছে, বিজেপিতে যোগদানের রাস্তা যে তাঁর কাছে খোলা রয়েছে একথা বলে দলের একাংশকেই কি কৌশলে বার্তা দিলেন ববি?
কি প্রতিক্রিয়া বিজেপির?
তৃণমূল নেতার মন্তব্য শোনার পর বিজেপির তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। বিজেপির সদস্যতা কর্মসূচিতে অনেককেই ফোন করা হয়েছে। তাছাড়া তাঁদের দাবি, বিজেপির কোন নেতা তাঁকে ফোন করেননি। দলের সদস্যতা কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা কোন একজন স্বেচ্ছাসেবক তাঁকে ফোন করেছিলেন। এমন ফোন সবার কাছেই গিয়েছে।