বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একটু জল হলে ডুবে যায় কলকাতার চারপাশ, আর ভারী বর্ষণ হলে জল যন্ত্রণা যে রীতিমতো দুঃসহ হয়ে ওঠে তা বলাই বাহুল্য। এই নিয়ে বরাবরই কটাক্ষ এবং রসিকতা সহ্য করতে হয়েছে শাসক দলকে। গতবার ভারী বর্ষণের সময় কলকাতা একটা গামলা বলেও মন্তব্য করেছিলেন পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এবারও পাতিপুকুরে মারাত্মক জল জমে রীতিমতো হুলুস্থুল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় সম্পূর্ণ ডুবে যেতে দেখা গিয়েছে একটি আস্ত বেসরকারি বাসকে।
স্বাভাবিকভাবেই এরপর বিরোধীদের কটাক্ষ দেশে এসেছে শাসকদলের দিকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিদায়ী মেয়র যখন সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন, তখন দুঃখ করে বলেছিলেন, কলকাতা জলে ভেসে যাচ্ছে, মানুষকে বাঁচাতে পারলাম না। এখন তো কেউ অ্যারেস্ট হননি, তাহলে এখন ভাসল কেন কলকাতা?” এদিন ‘টক টু কেএমসি’ নামক একটি অনুষ্ঠানে এর জবাবও দিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, শুধু কলকাতায় কেন অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্য জল জমে সেখানকার মানুষকে বাঁচাতে চান না। শুধু কার্যত বিরোধিতা করার জন্যই এসব কথা বলছেন দীলিপবাবু।
যদিও সাথে সাথে আশার কথাও জানিয়েছেন তিনি। ফিরহাদের দাবি, আগামী বছর থেকে আর এরকম জল যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে না মানুষকে। গত কয়েকদিনে রীতিমতো বৃষ্টির কারণে সমস্যার মুখে পড়েছিলেন মানুষ। জল জমে রীতিমতো দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতায়। একদিকে যেমন পাতিপুকুর, তেমনি অন্যদিকে টালিগঞ্জ, খিদিরপুর, বেহালা ও আলিপুরের বিভিন্ন এলাকাতেও যথেষ্ট জল যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে মানুষকে। বাদ পড়েনি উত্তর কলকাতাও বেলগাছিয়া সহ বেশ কিছু এলাকায়।
এই কথা মাথায় রেখেই পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, “কলকাতার যে সব জায়গায় জল জমে, সেই সব জায়গা চিহ্নিত করে পাম্পিং স্টেশন বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ছাড়া বাকি জায়গার কাজ আগামী বছর বর্ষার আগেই শেষ হয়ে যাবে। মেট্রোর কাজ চলায় টালিগঞ্জের কিছু জায়গায় জল জমার সমস্যা হচ্ছে। তবে আগামী বছর বর্ষার আগে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” সত্যিই যদি পরের বছর এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায় কলকাতাবাসী, থেকে ভাল যে আর কিছুই হতে পারে না তা বলাই বাহুল্য।