‘একটা শিয়াল হুক্কা হুয়া ডাকলেই, সবগুলো ডেকে উঠছে’, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন ফিরহাদ হাকিম

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শুভেন্দুর পর এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে (rajib banerjee) সরগরম বঙ্গরাজনীতি। বিরোধীপক্ষ নয়, বর্তমানে তৃণমূলের এক একজন ডাকাবুকো নেতৃত্বরাই দলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন। দলকে বাদ দিয়েই নিজেদের মত করে এগিয়ে চলছেন। প্রকাশ্য সমাবেশ দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। ফলে দল বদলের জল্পনা আরও স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য
সম্প্রতি হরিদেবপুরের এক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শনিবার যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন দেখছি ভালোকে খারাপ এবং খারাপকে ভালো বলে দলে স্তাবকতা করতে পারলেই তাঁর নম্বর বেশি। তাদের স্থানও সামনের সারিতে আর ঠাণ্ডা ঘরে বসে থাকা। আমি এই কাজ পারি না, তাই অন্যদের থেকে আমার নম্বরও কম। তবে জানবেন শুভেন্দু অধিকারী দল বদল করে নিলে দলের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। কেন দলের নেতারা তাঁর উপর রেগে যাচ্ছেন, সেটাও দেখা উচিত দলের’।

hbcbkbkb

কটাক্ষ করলেন ফিরহাদ হাকিম
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন দল বিরোধী মনোভাব, দলকে আক্রমণ করে মন্তব্য করার পাল্টা দিয়ে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, ‘একটা শিয়াল হুক্কা হুয়া করলেই, পাশ থেকে সবগুলো হুক্কা হুয়া ডেকে ওঠে। ডিপ্রেশন এমনই একটা অদ্ভুত রোগ, যা একজনকে দেখে অন্যজনেরও হয়। তবে বন্ধুদের বলব, ডিপ্রেশনকে মনে জায়গা দিও না। আমরা সবাই কিন্তু মমতা ব্যানার্জীর সিপাহী’।

দলে আগমনের জন্য আহ্বান করলেন দিলীপ ঘোষ
অন্যদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যের জেরে আবার বিজেপি মুখী হওয়ার প্রবণতা আঁচ করতে পারেছেন বিরোধীরা। তবে এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘এখন দেখুন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সকলেই একে একে সরব হচ্ছেন। কখনও রাজীব, তো কখনও অন্যেরা। তবে আমাদের দলে আসতে চাইলে ওকে স্বাগত জানাব। রাজীব খুবই ভালো ছেলে এবং ভালো কাজও করে’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর