বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে (Government Of West Bengal) বিধানসভা নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে ব্যস্ত রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় প্রত্যেক বছর কোন না কোন নতুন চমক নিয়ে হাজির হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক যেমন ২০০০-২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তাঁর নির্দেশে চালু হয়েছিল ‘মা ক্যান্টিন’।
রাজ্যের (Government Of West Bengal) ‘মা ক্যান্টিনে’র খরচের হিসাব জানালেন ফিরহাদ
প্রত্যেকদিন দুপুরবেলায় এই ক্যান্টিনে মাত্র পাঁচ টাকার ভাত, ডাল ও ডিমের ঝোল দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। শুরু থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ‘মা ক্যান্টিন’। আজ বিধানসভায় এই মা ক্যান্টিন সম্পর্কে পরিসংখ্যান দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সোমবার তিনি জানিয়েছেন রাজ্যের (Government Of West Bengal) মোট ৩৩ টি জেলা হাসপাতালের ‘মা ক্যান্টিন’ আছে। তার জন্য রাজ্যের খরচ হচ্ছে ১২৯ কোটি টাকা। পরিসংখ্যানে দেওয়া তথ্য বলছে প্রত্যেকদিন ২১.২৯ লক্ষ মানুষ প্রত্যেক মাসে মা ক্যান্টিন থেকে ডিম ভাত খান।’ এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত নাকি প্রায় ৭ কোটি ২৯ লক্ষ মানুষ এই ক্যান্টিনে খাওয়াদাওয়া করেছেন।
এখানে বলে রাখা ভালো শুরুতে মাত্র ৩২ টি ক্যান্টিনে চালু হয়েছিল এই প্রকল্প। ২০২২ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ২১২টি। লাগাতার রাজ্যের (Government Of West Bengal) এই ক্যান্টিনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখানে মাত্র নামমাত্র খরচে দুপুরের খাবার খেতে পারেন সাধারণ মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত এই ক্যান্টিন নিয়ে শুরুতে কম সমালোচনা হয়নি।
আরও পড়ুন: শোচনীয় দশা কোষাগারের! পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাই, এবার খরচের হিসাব চাইল নবান্ন
তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীশ ধনকড় প্রশ্ন তুলেছিলেন এই ক্যান্টিনের খরচ নিয়ে। তর্ক পাল্টা তর্কে জড়িয়ে ছিল শাসক বিরোধী দল। যদিও এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের খরচ নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি শাসক-বিরোধীরা। কিন্তু ইদানিং এই প্রকল্প নিয়ে চিন্তা বাড়ছে কলকাতা পুরসভার। ক্রমাগত ভিড় বেড়েই চলেছে উপভোক্তাদের।
সাধারণ মানুষের মতো অফিস যাত্রীরাও এখন নাম মাত্র খরচে খাওয়া-দাওয়া সারছেন এই মা ক্যান্টিন থেকে। তাই লাফিয়ে বাড়ছে খরচের বহর। শাক-সবজি থেকে ডিমের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় পুর কর্তারা সন্দেহ করছেন মা ক্যান্টিনের হিসাবে গন্ডগোল থাকতে পারে। সেই কারণে কত প্লেট খাবার বিলি হল তা পরের দিন বেলা বারোটার মধ্যে কেএমসি পোর্টালে নথিভুক্ত কর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা।