বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুক্রবার একাধিক প্রসঙ্গে সরব হন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। কলকাতা পুরসভা সংক্রান্ত নানা বিষয়ের সঙ্গেই একাধিক রাজনৈতিক বিষয়ও উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। গতকাল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের প্রতীকী ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠানে তাঁর মুখে জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর জবাবে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘যাঁরা বাংলাকে ঘৃণা করে, বাংলাকে নিয়ে সম্মানিত বোধ করে না, যারা নজরুল রবীন্দ্রনাথকে অবজ্ঞা করে তাদের মুখে এই কথা মানায়। এরা বাংলাকে অপমান করছে। রবীন্দ্রনাথ থেকে মাতঙ্গিনী হাজরা বাংলার মনীষীদের অপমান করছে। জয় বাংলা অর্থাৎ বাংলার জয়। শুভেন্দু বাংলা বিরোধী দলে গিয়ে বাঙালি বিরোধী হয়ে গিয়েছেন।’
অমর্ত্য সেনের সঙ্গে জমি সংঘাত মুখ খুলতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি অমর্ত্য সেন আসলে নোবেল পুরস্কার পাননি। এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই উপাচার্যকে তীব্র্র আক্রমণ করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘উনি পাগল। ওঁকে এখনই তাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এই সব বলে গোটা ভারতবাসীকে অপমান করা হচ্ছে। ওঁর সার্টিফিকেটগুলো পরীক্ষা করা উচিত। উনি মানসিকভাবে সুস্থ নন।’
অপরদিকে, ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকে গত শনিবার ধর্মতলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘প্রশাসনকে আদালতের নির্দেশ মেনে চলতে হয়। আদালত যদি নির্দেশ তাই প্রশাসন কি করবে! আমাদেরও আদালতের নির্দেশে জেলে যেতে হয়েছিল। আদালত যদি কোন নির্দেশ দেয় তাহলে প্রশাসন তা মানতে বাধ্য। এখন বিজেপির সংখ্যালঘু সেল নওশাদ সিদ্দিকির হয়ে আন্দোলন করছে। বামেরা আন্দোলন করছে। আসলে বিজেপির কোলে নওশাদ ভাই দোলে।’
পুর পরিষেবা সংক্রান্ত একাধিক বদলের কথাও ঘোষণা করেন কলকাতার মেয়র। শহররে যেখানেসেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন তিনি। ফিরহাদ জানান, রাস্তায় গাড়ি ফেলে রাখলে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। মহানগরের দূষণ রোধে বৃক্ষরোপণ ও ব্যাটারি চালিত গাড়ি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছে ফিরহাদ।