দাদু মুখোপাধ্যায়, বাবা হাকিম! জীবনের বহু অজানা তথ্য প্রকাশ করলেন কলকাতার মহানাগরীক ফিরহাদ হাকিম

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বরাবরই অকপট ফিরহাদ হাকিম। তবে এবার মহানাগরীকের নিজের মুখেই উঠে এলো তাঁর পরিবার, দাম্পত্য, পেশা এবং সর্বোপরি নেশার কথা। জানালেন ঋণ নিয়ে শুরু করা ব্যবসা থেকে হিন্দু ব্রাহ্মণ মামার বাড়ির গল্পও।শনিবার একটি লাইভ অনুষ্ঠানে এসেই নিজের ব্যক্তিগত পরিসরকে খোলা বইয়ের মতন মেলে ধরেন ববি হাকিম।

অনুষ্ঠানে এক দর্শক মায়ের কথা জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, ‘আমার মা স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। সারা জীবন স্কুলে পড়িয়েছেন। মা অঙ্ক কষতে খুব ভালবাসতেন। রাত জেগে জেগে অঙ্ক করতে দেখেছি মা-কে। কিন্তু পরে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে আমাদের মানুষ করার জন্য সংসারে মন দেন। আমার বিয়ের পর দেখেছি, নতুন বৌমার উপর সব কাজ চাপিয়ে দিয়ে নিজে অঙ্ক কষছেন মন দিয়ে।’ হাসতে হাসতে তিনি আরও জানান ‘এমন শাশুড়ি এবং মা কখনও দেখিনি আমি!’

আদ্যান্ত বঙ্গ কন্যা হয়েও এলাহাবাদ থেকে হিন্দিতে পড়াশোনা করেছিলেন তাঁর মা। চাকরি করতেন গার্ডেনরিচের মৌলানা আজাদ মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলে। তিনি ‘শেখাতে’ এতটাই বিশ্বাসী ছিলেন যে নিজের চেষ্টাতেই শিখে নিয়েছিলেন উর্দু। মুখোপাধ্যায় নন্দিনী ছিলেন ববি হাকিমের মা। বাবার নাম সতীনাথ মুখোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আজকাল বিজেপির বাড়বাড়ন্তের পর মুখোপাধ্যায় -হাকিম এসব নিয়ে এত আলোচনা দেখি! কিন্তু আমাদের পরিবারে ব্যাপারটি অত্যন্তই সাধারণ একটি ব্যাপার ছিল।’

760922 firhad hakim

নিজের প্রেম এবং দাম্পত্য নিয়েও এদিন অকপট ছিলেন মেয়র। জানান স্ত্রী রুবির সঙ্গে বিয়ের দিনই প্রথম দেখা তাঁর। একটিবারও না দেখে বাবার পছন্দের মেয়ের সঙ্গেই বিয়েই পিঁড়িতে বসেছিলেন সেদিন। বিবাহিত জীবনের ৩৭ টি বছর পেরিয়ে এসেও নিজের জীবনে স্ত্রী ভূমিকাকে এতটুকু ম্লান হতে দেননি ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘গত ৩৭ বছরে আমার জীবনের সবটুকু জুড়ে পাশে থেকেছে রুবি। আমার কঠিন সময়ের সাক্ষী ও। মার খেয়ে বাড়ি ফিরেছি, মাথা ফেটেছে, সব ও সামলেছে। বাবা মা ওকে অনেক চাপ দিতেন আমায় রাজনীতি ছেড়ে দিতে বলার জন্য। কিন্তু ও শক্ত পিলারের মতন আমার পাশে থেকেছে।’

রাজনীতি তার পেশা নয়, নেশা। এদিন এ কথাও জানান তিনি। নিজেকে পেশায় ব্যবসায়ী বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন কলকাতার মেয়র। ৫ বন্ধু মিলে সরকার থেকে ঋণ নিয়ে ক্যানিং এ একটি বরফকল তৈরি করেছিলেন। এখনও আছে সেটি। এছাড়াও রয়েছে নিউ আলিপুরে একটি প্লাস্টিক কারখানা। তাছাড়াও একটি স্যানিটারি জিনিসের দোকান রয়েছে তাঁর।

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর