বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের মন্ত্রী, কলকাতা পুরসভার মেয়র তিনি। সেই ফিরহাদ হাকিমকেই (Firhad Hakim) এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা গেল। এতদিন ধরে ফিরহাদ বনাম বিজেপি টানাপোড়েন চলছিল। তবে বৃহস্পতিবার দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র।
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কী বললেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)?
গত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য বয়কট করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি-কে। ফিরহাদ যখনই বলতে উঠেছেন, বিজেপি (BJP) বিধায়করা বেরিয়ে গিয়েছেন। এদিন বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হওয়ার পর ফের একই দৃশ্য দেখা যায়। পদ্ম শিবিরের বিধায়করা হাউজের বাইরে বেরিয়ে ইনার লবিতে চলে যান। বক্তব্য শেষ হওয়ার পর ফের ভেতরে আসেন।
আজ পরপর দু’বার ফিরহাদ বলতে ওঠার সময় বেরিয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ বিজেপি বিধায়করা। তবে তৃতীয়বার দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। এবার আর অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরোননি পদ্ম শিবিরের এমএলএ-রা। নিজ নিজ আসনেই বসে ছিলেন প্রত্যেকে।
আরও পড়ুনঃ জ্যোতিপ্রিয় অতীত! বারিকের অফিসে হানা দিয়ে চাঞ্চল্যকর নথি পেল ED! ফাঁস করতেই তোলপাড়
ফিরহাদ খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, ‘মাননীয় সদস্যরা যখন প্রশ্ন করেন, সেই সময় উত্তর দিতে হয়। যখন আমি উত্তর দিতে যাচ্ছি, সেই সময় বেরিয়ে যাচ্ছেন। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, আপনারা বিশ্বাস করেন যে আমি সেকুলার নই? আমায় ধর্মনিরপেক্ষ ভাবেন কি ভাবেন না সেটা বুকে হাত দিয়ে বলুন তো! কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে কী বলেছি, তা নিয়ে এমন ব্যবহার করা হচ্ছে’।
ফিরহাদের (Firhad Hakim) প্রত্যেকটি কথা মন দিয়ে শোনেন বিরোধী দলনেতা সহ বিজেপি বিধায়করা। এরপর শুভেন্দু বলেন, ‘ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আপনি যেতে পারেন। মন্ত্রী অথবা মেয়র হিসেবে আপনাকে ডেকেছিল। আমরাও সনাতন হিন্দুর কথা বলি। এটায় আপত্তির নেই। আমাদের আপত্তি রয়েছে দ্বিতীয় অংশে। এই আহ্বান যথাযথ নয় বলে আমাদের মনে হয়েছে। আপনি ক্ষমা চাইবেন না, সেটা বলছি না। আপনি দুঃখিত সেটা বলুন। এখানেই মিটে যাবে’।
ফিরহাদ (Firhad Hakim) এরপর বলেন, ‘আমার কাউকে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। আমি ধর্মনিরপেক্ষ ছিলাম, শেষদিন অবধি তাই থাকব। অন্য ধর্মকে সম্মান জানানোর বিশ্বাসে আমি বড় হয়েছি। আমি ইসলামে বিশ্বাসী হলেও দুর্গাপুজোয় অংশ নিই। অন্য ধর্মকে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য আমার ছিল না’।