বাংলা হান্ট ডেস্ক: কলকাতা পৌরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কলকাতার একাধিক ওয়ার্ড থেকে অভিযোগ উঠেছে পুরোনো গাড়ির কারবারিরা অনেকে গাড়ির যন্ত্রাংশ এলাকার জলাশয়ে ফেলে দেন৷ এর ফলে দূষিত হচ্ছে জলাশয়। এছাড়া শহরের অনেক থানার সামনে রাস্তার একাংশ জুড়ে বাজেয়াপ্ত গাড়িগুলি রেখে দেয় পুলিশ৷” এই সমস্ত গাড়ি ডাম্পিং গ্রাউণ্ডে নিয়ে গিয়ে স্ক্র্যাপ করে বিক্রি করার উদ্যোগ নেবে পৌরনিগম। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবেন মেয়র।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গি নিয়েও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কথা বলেছেন পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ তিনি বলেন, “ডেঙ্গি মোকাবিলায় কলকাতা পৌরনিগম সহ রাজ্যের অন্যান্য পৌরনিগম ও পৌরসভা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে।” রাজ্যপালের টুইট প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, “ওকে সম্মান জানিয়েই বলছি, উনি অন্য রাজ্য থেকে এসেছেন৷ উনি যা দেখে এসেছেন, তাই শিখে এসেছেন৷ আমরা রাস্তায় নেমে কীভাবে কাজ করি ওকে এগুলো দেখান৷ উনি দেখেও নেবেন, শিখেও নেবেন৷”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রমোটার রাজ ঠেকাতে এবার উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। যার জেরে বস্তিবাসীদের জন্য প্রজাস্বত্ব সংক্রান্ত নিয়মে বদল আনা হয়েছে। পাশাপাশি বস্তিবাসীদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় এখন থেকে ঠিকা প্রজাদের লিজের মর্যাদা দেওয়া হবে। এছাড়াও ঠিক হয় ঠিকা প্রজাদের দীর্ঘ মেয়াদি ভিত্তিতে জমি লিজ়ে দেওয়া হবে। ৩০ থেকে ৯৯ বছর পর্যন্ত সেলামির বিনিময়ে তাঁরা লিজ়ে নিতে পারবেন।
সম্প্রতি কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরভোটের আগে ঠিকাদারদের পাওনাগন্ডা বুঝে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সকলকে। শুধু তাই নয় এর সাথে সাথে তিনি আরও নির্দেশ দেন যে সময়ের কাজ ঠিক সময়ে শেষ করতে হবে। ফিরহাদ হাকিম ঠিকাদারদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘যথা সময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। প্রি টেন্ডার আবশ্যিক। টেন্ডার হওয়ার পূর্বে সমস্ত কিছু স্পষ্টভাবে পর্যালোচনা আলোচনা করে নেওয়া দরকার। পরে সময় বা টাকা কোনওটাই বাড়ানো যাবে না।’
সামনের বছরে আয়োজিত হবে কলকাতা পুরসভার ভোট। মেয়র নিজেই মন্তব্য করে বলেছেন, এই নির্বাচন হতে পারে এপ্রিল মাসে। কিন্তু ভোটের ফলাফল নিয়ে ফিরহাদের মনে যে কি চলছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। কলকাতার মেয়র স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন যে ‘এপ্রিলেই হবে পুরভোট। দরপত্র এমনভাবে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন যাতে সমস্ত কাজ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হয়ে যায়। সমস্ত টাকার পাওনা গন্ডা আছে মার্চ মাসেই মিটে যায়। এরপর টাকা না পেলে আর আমার কোন দায় থাকবে। ভোটের পর কী হবে কেউ জানে না।’