সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হয়ে গড়েছিলেন নজির, প্রয়াত হলেন ফতিমা বিবি

বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রয়াত হলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রথম মহিলা বিচারপতি (First Female Judge) ফতিমা বিবি (Fatima Bibi)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে কেরালার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফতিমা বিবি। জীবনকালে মহিলাদের নানাভাবে উৎসাহিত করেছেন, কাজ করেছেন একাধিক নাগরিক সংগঠনের সাথে। এহেন বিচারপতির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ।

journey of fathima beevi be an inspirer

পড়াশোনায় তুখোড় ছিলেন ফতিমা বিবি

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাল ১৯২৭ এ কেরালার পাথানামথিট্টায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ছোট থেকেই পড়াশোনায় বেশ তুখোড় ছিলেন। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে ভর্তি হন তিরুবনন্তপুরমের একটি মহিলা কলেজে। সেখান থেকে রসায়ন নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর আইন পড়তে ভর্তি হন সরকারি আইন কলেজে। সেখান থেকে এলএলবি ডিগ্রি হাসিল করেন।

প্রথম মহিলা বিচারপতি হয়ে নজির গড়েন তিনি

ফতিমা বিবিকে দেওয়া হয় স্বর্ণপদক। দীর্ঘ আট বছর আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করার পর ম্যাজিস্ট্রেট পদে যোগ দেন। এরপর ১৯৭৪ সালে জেলা দায়রা জজ হন। এরপর ১৯৮৩ সালে কেরালা হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিয়যিত হন ফতিমা বিবি। ছোট থেকেই মেধাবী ফতিমা ১৯৮৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন। সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসেবে রেকর্ড গড়ে ফেলেন তিনি।

আরও পড়ুন : ২২ বছর পর সুযোগ, বাবার হত্যার বদলা নিতে সুপারি কিলারকে কুপিয়ে খুন ছেলের! শুনে আঁতকে উঠবেন

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবেও নজিরবিহীন উদাহরণ

পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবেও নজিরবিহীন উদাহরণ স্থাপন করেন তিনি। অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯২ সালের ২৯ এপ্রিল‌। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল হিসাবেও দায়িত্বভার সামলান ফতিমা। কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডে যুক্ত চার জনের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি।

আরও পড়ুন : ৩৫০ টাকার জন্য ১০০ বার কোপ, মৃতদেহের উপর উদ্দাম নাচ! কিশোরের তাণ্ডবে কাঁপছে দিল্লি

1600x960 336822 fatima beevi

মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদ থেকে ইস্তফা দেন

যে কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দেন ফতিমা বিবি। এরপর সমাজের কাজে নিযুক্ত করেন নিজেকে। সমাজের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কেরালা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে যোগদান করেন। সরকারের তরফ থেকে ডি লিট উপাধি দেওয়া হয় ১৯৯০ সালে। সেই সঙ্গে পুরস্কৃত করা হয় শিরোমনী পুরস্কারে। পাশাপাশি ভারত জ্যোতি পুরস্কার দিয়েও সম্মানিত করা হয় তাকে। এহেন ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে আইনি মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর