স্যান্টনার ও হেনরির দাপটে বিপাকে ছিল ইংল্যান্ড! রুটের ব্যাটে ভর করে উঠলো বড় রান

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ আরম্ভ হয়ে গেল ২২ গজের বিশ্বযুদ্ধ। আহমেদাবাদের (Ahmedabad) নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে (Narendra Modi Stadium) বিশ্বকাপের (2023 ODI World Cup) প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড (England Cricket Team) ও নিউজিল্যান্ড (New Zealand Cricket Team)। আর প্রথম ম্যাচে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এ যেন চার বছর আগের ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালের উল্টো। সেবার নিয়মের ফাঁক গলে জো রুটরা (Joe Root) ম্যাচ জিতলেও মন জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। আর প্রথমে বোলিং করার বদলে আগে ব্যাট করে স্টোকসদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট স্কোরবোর্ডে তুলেছিলেন উইলিয়ামসনরা।

তবে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে ইংল্যান্ডের এবারের অধিনায়ক জস বাটলার। তিনি জানিয়েছেন চার বছর আগে তারা বিশ্বকাপ জিতে খুব খুশি ছিলেন কিন্তু এখানে তারা নিজেদের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখছে না। ভারতের মাটিতে লড়াইটা সম্পূর্ণ নতুন। তারা বিশ্বকাপ ডিফেন্ড করতে নয়, তারা বিশ্বকাপে জিততে এসছে বলে জানিয়েছেন বাটলার।

তবে মজার ব্যাপার হলো যে দুই দলই নিজেদের সেরা তারকাকে প্রথম ম্যাচে পাচ্ছে না। নিউজিল্যান্ডের দলে থাকছেন না কেন উইলিয়ামসন। আইপিএল খেলতে গিয়ে তিনি চোট পেয়েছিলেন। তারপর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামলেও পুরো পঞ্চাশ ওভার তাকে দিয়ে ফিল্ডিং করানোর ঝুঁকি নিতে প্রথম ম্যাচেই রাজি নয় নিউজিল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই সঙ্গে তাদের তারকা ফার্স্ট বোলার লকি ফার্গুসন-কেও মাঠে নামাচ্ছে না কিউয়িরা। ব্যাপারটা ইংল্যান্ডকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে‌। অপরদিকে ইংল্যান্ড পাচ্ছে না নিজেদের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে। এটা একটা বড় ধাক্কা ছিল তাদের জন্য।

প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে তারকা ফাস্ট বোলার ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ওভারে বেয়ারস্টো ১২ রান তুললেও ইংল্যান্ড ওপেনাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ম্যাট হেনরির কৃপণ বোলিং তাদেরকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিল। লং লেক এবং ডিপ ফাইল লেগের ফিল্ডারকে বাউন্ডারিতে রেখে গোটা পাওয়ার প্লে-তে বলকে হালকা সুইং করিয়ে যান তিনি। পুরস্কার স্বরূপ পেয়ে যান ওপেনার ডেভিড মালানের (১৪) উইকেট। এমনিতে অত্যন্ত আগ্রাসী বলে পরিচিত হলেও প্রথম ১ ওভারে কেবলমাত্র ৫১ রান তুলতে পেরেছিল ইংল্যান্ড। এরপর বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে ১৩ তম ওভারে বাঁ-হাতি অফস্পিনার স্যান্টনারের বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে আউট হন অপর ওপেনার জনি বেয়ারস্টো (৩৩)।

এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। রাঁচিন রবীন্দ্রর ওভারের দুটি চার একটি ছক্কা মারার পরেও অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে নিজের উইকেট হারান তরুণ ক্রিকেটার হ্যারি ব্রুক (২৫)। ইংল্যান্ডের ইনিংসকে টানতে থাকেন জো রুট। প্রয়োজনে আগ্রাসী শট খেলার পাশাপাশি বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং করছিলেন তিনি।

তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জস বাটলার। কিন্তু ইংল্যান্ড অধিনায়ক ৪২ বলে ৪৩ রান করে আউট হন। তারপর আর কোনও বড় পার্টনারশিপ হয়নি। রুট ৮৬ বলে ৭৭ রান করে আউট হওয়ার পর আরো বড় বিপাকে পড়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু শেষ উইকেটে ৪.২ ওভারে ৩০ রান যোগ করে দেন আদিল রশিদ ও মার্ক উড। তাদের শেষ উইকেট এর পার্টনারশিপে ভর করেই ২৮২ রানে পৌঁছতে পেরেছিল ইংল্যান্ড। ম্যাট হেনরি (৩/৪৮) নতুন বলের পাশাপাশি পুরনো বল হাতেও গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলেছেন তিনি। ভালো বোলিং করে দুটি করে উইকেট তুলেছেন নিউজিল্যান্ডের দুই স্পিনার স্যান্টনার (২/৩৭) ও গ্লেন ফিলিপ্স (২/১৮)। নিজের পরবর্তী স্পেলগুলিতে অসাধারণ বোলিং করে একটি উইকেট পেয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। একটি উইকেট পেলেও অনেক রান খরচ করেছেন রাঁচিন রবীন্দ্র।