বাংলাহান্ট ডেস্ক: সবাই বলছেন অপেশাদারিত্বের চূড়ান্ত। মাঝ আকাশে জ্বালানি শেষ বিমানের। ১২৭ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করলেন পাইলট। তারপর জ্বালানি ভরে ফের উড়ে গেলেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এমনই নজির বিহীন ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল মঙ্গলবার রাতের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে রাঁচি যাচ্ছিল বিমানটি। বিমান যখন কলকাতার আকাশে তখন পাইলট ও অন্যান্য স্টাফেরা বুঝতে পারেন বাকি পথটা পাড়ি দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় জ্বালানিই নেই তাদের কাছে। এবার উপায়? বিমানে তখন সর্বমোট ১২৭ জন যাত্রী। এই পরিস্থিতির কথা জানেত পারলে স্বাভাবিক ভাবেই ভীষন আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। অগত্যা কলকাতা বিমানবন্দরেই জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন বিমানচালক। জ্বালানি ভরে ফের পাড়ি দেন গন্তব্যে। ঘটনাটা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। সকলেই আঙুল তুলতে থাকেন বিমানচালক ও অন্যান্য স্টাফদের অপেশাদারিত্বের দিকে। এতজন যাত্রী প্রাণের ঝুঁকি তারা কীভাবে নিতে পারলেন উঠতে থাকে সেই প্রশ্ন।
অবশ্য এটা এই প্রথম নয়। মাত্র কিছুদিন আগেই আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কলকাতা সফরের দ্বিতীয় দিন। মুম্বইগামী একটি বিমান সবেমাত্র রানওয়ে ছেড়ে উড়তে শুরু করেছে। এমন সময় মোহিনী মণ্ডল নামে এক মহিলা ককপিটে গিয়ে জানান, বিমানে এক মহিলা যাত্রীর শরীরে বোমা বাঁধা রয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে ভয়ঙ্কর বিষ্ফোরণ ঘটে যেতে পারে।
তাঁর কথা শুনে ১১৪ জন যাত্রীকে নিয়ে তড়িঘড়ি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান চালক। ছুটে আসেন CISF জওয়ানরা। আসে বম্বস্কোয়াড। কিন্তু সারা বিমান তন্নতন্ন করে খুঁজেও কিছুই পাওয়া যায়নি। অভিযোগকারী ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কেন তিনি এমন অভিযোগ করলেন তা জানা যায়নি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে মহিলার কললিস্ট।