বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত কয়েকদিন থেকে একটানা বৃষ্টিতে (Rainfall) জেরবার রাজ্যের একাধিক জেলা। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বিস্তর অংশ। এরই মাঝে মঙ্গলবার প্লাবনের আশঙ্কা। ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। এর জেরে আগামীকাল প্লাবিত (Flood) হতে পারে হাওড়া, হুগলির পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরাট অংশ। যা নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়কদের ওই সব এলাকায় বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
হাওড়া সহ এই তিন জেলায় বন্যার আশঙ্কা (Flood)
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলায় প্লাবন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই ভয়ানক আশঙ্কার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, তেনুঘাট ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে যে জল ছাড়া তার জেরে আগামীকাল সকাল ৮টার মধ্যে হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরাট অংশ প্লাবিত হতে পারে। এই অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কায় বাড়ছে উদ্বেগ।
ভয় বাড়াচ্ছে ভরা কটাল। মঙ্গলবার ভরা কটাল রয়েছে। এই অবস্থায় গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য মন্ত্রী পুলক রায়-সহ বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেসব এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা সেই সব এলাকায় থেকে যাওয়ার নির্দেশ মমতার। ওই তিন জেলার জেলাশাসক ও সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:মানিকের জামিন মামলায় বিরাট আপডেট, ঘুরে গেল মোড়! নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড়
রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমলেও এখনও বিপর্যস্ত বহু এলাকা। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বেশ কিছু অংশ। এরই মাঝে রাজ্যকে (West Bengal Government) কিছু না জানিয়েই জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি (DVC)। ফলত একাধিক জেলায় প্লাবনের আশঙ্কা করছে নবান্ন (Nabanna)। একদিকে যখন টানা বৃষ্টিতে রাজ্যের একাধিক প্রান্ত থেকে ভয়ঙ্কর চিত্র উঠে আসছে সেই সময় DVC-র জল ছাড়ার ফলে দুর্যোগ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও ডিভিসি কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র দাবি করেছে, রাজ্যকে জানিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই জল ছাড়া হয়েছে।