করোনা প্রভাব চীন থেকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে ভারতে তার প্রভাব পড়েছে । সমগ্র বিশ্বে (World) এখনও অবধি করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন প্রায় ৭ হাজার মানুষ। চীনের পর ইরানে এই রোগ সর্বাধিক বিস্তার লাভ করেছে। ইরানে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজারের বেশি মানুষ এবং মারা গিয়েছেন প্রায় ৭০০ জন। ভারতে এই রোগ এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। যেভাবে এই রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করছে, তাতে তৃতীয় পর্যায়ে গেলে তা আর সামলানোর পর্যায়ে থাকবে না বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।রাজনীতিতেও পড়েছে করোনার খারাপ প্রভাব।
এর মধ্যেই ভোপালে ফিরে আসা সমস্ত বিধায়ককে প্রথমে করোনার ভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। করোনার ভাইরাস পরীক্ষা করার দলটি ভোপালের হোটেলে পৌঁছেছিল, যেখানে বিধায়করা রয়েছেন।মধ্য প্রদেশ সরকারের মন্ত্রী, পিসি শর্মা বলেছিলেন, ‘রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল যে, জয়পুর থেকে আসা আমাদের বিধায়কদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা উচিত। এছাড়াও হরিয়ানা এবং বেঙ্গালুরুতে বসবাসকারী বিধায়কদেরও চিকিত্সা পরীক্ষা করা উচিত।বিশ্বে ১০০ টির বেশী দেশে পৌঁছেছে করোনা । সিন্ধিয়া কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, তারপরে তার সমর্থক ২২ বিধায়কও পদত্যাগ করেছেন।বিধায়কদের পদত্যাগ করার পরেই কংগ্রেসের কমল নাথ সরকারের দল সংখ্যালঘুতে পরিনত হয়। এর মধ্যে আবার সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার খবর মিলেছে। বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের প্রসঙ্গে আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী মাইক পস্ফিও ফোনের মাধ্যমে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেন।আমেরিকাতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার।
অপরদিকে ভারতে এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪ জন।আর এরমধ্যে এই টালমাটাল পরিস্থিতি।মধ্য প্রদেশের রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে বিধানসভায় তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য বলে রেখেছিলেন। আর এরপরেই রাজ্যে রাজনৈতিক আলোড়ন আবারও বেড়েছে।এমনকি মধ্যরাতে রাজভবন থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা কমল নাথকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়।