বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানের (Pakistan) আমজনতার যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। রোজকার খাবারের জন্য ব্যবহৃত আটার মূল্য চোকাতেই একপ্রকার নাভিশ্বাস উঠছে পাকিস্তানিদের। জানা গেছে, মিল মালিকরা আটার দামে প্রতি কেজিতে ১১ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে পাকিস্তানের খুচরো বাজারে আবারও দাম বৃদ্ধি হতে চলেছে আটার। মূলত সিন্ধু প্রদেশের মিলে দাম বৃদ্ধি হয়েছে আটার।
ইতিমধ্যেই ২.৫ নম্বর আটার দাম ১১৫ টাকা প্রতি কেজিতে পৌঁছেছে। এই আটার দাম গত সপ্তাহে ছিল প্রতি কেজি ১০৪ টাকা ও গত মাসে ৯৬ টাকা। একইভাবে ফাইন ও সুপারফাইন জাতের আটার দাম এক সপ্তাহ আগের প্রতি কেজি ১০৮ টাকা এবং একমাস আগের ১০৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১৮ টাকা। চাকি আটার দাম এক মাস আগের ১২০ টাকা প্রতি কেজি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪০ টাকা।
পাকিস্তান ফ্লাওয়ার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আমির আব্দুল্লাহ বলেছেন, এক সপ্তাহ আগে ১০০ কেজি গমের ব্যাগের দাম ছিল ৯৩০০ টাকা। খোলা বাজারে বর্তমানে সেগুলির দাম হয়েছে ১০২০০ টাকা। চোরাচালানের কারণে গমের দাম বৃদ্ধি হয়েছে এমন ধারণা তিনি মানতে চাননি। তিনি দাম বৃদ্ধির পিছনে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন খোলা বাজারের ব্যবসায়ীদের দিকে। তার মতে, নতুন ফসল না আসা পর্যন্ত আরও বেশি লাভ পাওয়ার আশায় ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে খাদ্যশস্য বাজারে ছাড়ছেন। তার আরও দাবি, সিন্ধু সরকার প্রতিটি মিলকে প্রতিমাসে ১০ হাজার গমের ব্যাগ প্রদান করছে। শীতকালে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার পর এটি পর্যাপ্ত ছিল না।
সরকারের কাছে এই মাসের প্রথম সপ্তাহে ৭.৫ মিলিয়ন গম মজুদ ছিল যা ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ভর্তুকিযুক্ত হারে জনগণকে সরবরাহ করার জন্য যথেষ্ট। পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবধান পূরণ করতে পাকিস্তান ২০২০ সালের জুলাই থেকে এই বছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৬.৯২ মিলিয়ন গম আমদানি করেছে। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ২.২৪ বিলিয়ন ডলার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই থেকে নভেম্বর) গম আমদানি হয়েছে ১.১ মিলিয়ন টন যা এক বছর আগে ছিল ১.০২৩ মিলিয়ন টন।