বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার কারণে একদিকে যেমন বেড়েছে বেকারত্ব তেমনি চাকরি হারিয়েছেন বহু অভিজ্ঞ মানুষও। যার ফলে অনেকেই এখন নতুন করে ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন। আপনিও যদি এ ধরনের নতুন কোন ব্যবসার খোঁজ করেন, তাহলে আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে ছাই থেকে ইট তৈরির ব্যবসা। এই ব্যবসার শুরুতে দু লক্ষ টাকা মত বিনিয়োগ করলে আপনি মাসিক এক লক্ষ টাকা অবধি আয় করতে পারবেন।
নগরায়নের এই বাড়বাড়ন্তে বড় বড় নির্মাতারা প্রায়ই ফ্লাই অ্যাশ ইটকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। যার ফলে এই ব্যবসা এখন সফলতা লাভ করছে চারিদিকেই। জানিয়ে রাখি এক্ষেত্রে অটোমেটিক মেশিন ব্যবহার করলে আয় আরও বাড়ানো সম্ভব। যদিও এই অটোমেটিক মেশিনের দাম ১০-১২ লক্ষ টাকা। তবে লাভের বিষয়টি হলো কাঁচামালের মিশ্রণ থেকে শুরু করে ইট তৈরির কাজ মেশিনের মাধ্যমেই করা যায়। ফলে মাত্র এক ঘন্টায় এক হাজার ইট তৈরি করতে পারবেন আপনি। অর্থাৎ মাসে তৈরি করতে পারবেন প্রায় ৩ লক্ষ ইট।
এক্ষেত্রে সরকারি লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন আপনি। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান প্রকল্প এবং মুখ্যমন্ত্রীর যুব আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমেও বর্তমানে এই ব্যবসার জন্য লোন দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মুদ্রা যোজনার মাধ্যমেও লোন পেতে পারেন আপনি। মূলত পাহাড়ি অঞ্চলে মূলত পাহাড়ি অঞ্চলে মাটির ইট তৈরি করার অসুবিধার জেরে সিমেন্ট বা স্টোন ডাস্টের ইটের চাহিদা অত্যন্ত বেশি।
উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশের মতো রাজ্যে তাই এর চাহিদা অত্যন্ত বেশি। সঠিকভাবে এই ব্যবসা শুরু করতে পারলে সহজেই মুনাফা করতে পারবেন আপনিও।