বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজধানী জুড়ে চাঞ্চল্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সরকারি বাসভবনের ওপরে উড়তে দেখা গেল ড্রোন। ঘটনার তদন্তে শুরু করেছে পুলিস। কোনও নাশকতার ছক বা রেকি করার জন্য এই ড্রোন ওড়ানো হয়েছে কি না, তাও এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিল্লিতে (Delhi)। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের ওপরের আকাশসীমা ‘নো ফ্লাই জোন’-এর আওতায় পড়ে। সেখানে কীভাবে ড্রোন ওড়ানো হল, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধন্দ।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের ওপরে ড্রোন দেখতে পায় তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ। তারাই ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ দিল্লি পুলিসকে বিষয়টি জানায়। এরপরই পুলিস তদন্ত শুরু করে। নিরাপত্তার কারণে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের ওপর দিয়ে বিমান, হেলিকপ্টার বা কোনও বায়ুযানই যেতে পারে না। এই আবহে ভোরবেলায় একটি ড্রোন রহস্যজনক ভাবে চক্কর কাটতে থাকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের ওপর।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নিযুক্ত এসপিজি জওয়ানদের নজরে পড়ে সেই উড়ন্ত ড্রোনটি। সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়ে পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। কীভাবে রাজধানীতে ‘নো ফ্লাই জোনে’ ড্রোন উড়ে গেল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিস জানায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে একটি অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু দেখা যায় ভোরে। সেই বিষয়ে এডিডি কন্ট্রোল রুমে খবর আসে। ড্রোনের খবর পেয়েই আশেপাশের এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। তা সত্ত্বেও এ ধরনের কোনও ড্রোনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সাথেও এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তারা জানায়, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে এমন কোনও উড়ন্ত বস্তু শনাক্ত করতে পারেনি তারা।’ এই পরিস্থিতি এই ড্রোন নিয়ে ক্রমেই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।
সাম্প্রতিককালে জম্মু ও কাশ্মীরে নাশকতার জন্য একাধিকবার ড্রোন ব্যবহার করেছে পাক জঙ্গিরা। জম্মু এয়ার বেসে ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। তাছাড়া সীমান্ত পার মাদক বা অস্ত্র পাচার করার জন্যও জঙ্গি ও চোরাচালানকারীরা ড্রোনের ব্যবহার করে থাকে।
এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের ওপরে নো ফ্লাই জোনে ড্রোনের চক্কর কাটার বিষয়টি নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। এমনিতেই প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রাণনাশের প্রচুর হুমকি আসে। এই পরিস্থিতে এই ঘটনার জেরে মোদীর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সকলেই। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিস এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।