ভূতচতুর্দশীতে মেনে চলুন কিছু বিশেষ রীতি, বাড়িতে আসবে সৌভাগ্য

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভূতচতুর্দশীর (bhoot chaturdashi) সঙ্গেই জড়িয়ে আছে গা ছমছমে একটি ব্যাপার। প্রকাশ না করলেও, অনেকেই হয়ত এইদিনে অল্প বিস্তার ভয় পেয়েই থাকেন। তবে যেটি না বললেই নয়, তা হল এইদিন ছোট বাচ্চাদের আতঙ্কের দিন। এই দিন মানুষের পূর্বপুরুষেরা পৃথিবীতে নেমে আসেন বলে মনে করা হয়। তাদের সন্তুষ্ট করতে বাঙালীরা আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন।

চোদ্দশাক খাওয়া, চোদ্দপ্রদীপ জ্বালানো ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। ফলেই এইদিনটিতে কিছু নিয়মাবলী পালন অত্যাবশ্যক। যা পালন করলেন কিছুটা হলেও অশুভ আত্মার প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবার জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মাবলীগুলো-

jack o lanterns 880x470 eb195029

ভূতচতুর্দশী এবং কালী পুজো এই দুইদিন সন্ধ্যার পর ঝাড়ু দিলে, মা লক্ষ্মীকে ঘর থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে বলে মনে করা হয়। তাই এই দুই দিন সন্ধ্যার পর ঝাড়ু দিয়ে কোন কাজ না করাই মঙ্গল।

DSC07176

কালী পুজোর আগের রাতে বাঙালীর প্রতি ঘরে ঘরেই জ্বালানো হয়ে থাকে চোদ্দপ্রদীপ এবং তাঁর সঙ্গে এই দিন বাঙালীরা চোদ্দশাকও খেয়ে থাকে। এই চোদ্দশাকের মধ্যে পড়ছে সর্ষে, পলতা, শুষণী, ওল, কেঁউ, বেতো, কালকাসুন্দা, জয়ন্তী, নিম, হেলঞ্চা, হিঞ্চে, গুলঞ্চ, ভাটপাতা, শুলফা শাক।

bhoot story facebook 647 102916013111

ভূতচতুর্দশী এবং কালী পুজোর রাতে বিভিন্ন শ্মশান সহ কবরস্থানগুলিতে অশুভ আত্মা, অপদেবতা অর্থাৎ অশুভ শক্তি অবস্থান করে। এজন্য এই দুই রাতে এই স্থানগুলিতে যাওয়া একদমই উচিত নয়। নয়ত, নিজের ক্ষতি সহ পরিবারের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়।

diwali candles

প্রধানত পূর্ব চোদ্দ পুরুষের শান্তি কামনায় ভূতচতুর্দশী পালিত হয়ে থাকে। উঠোন সহ বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন স্থানে ১৪ টি প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে এইদিন। সমস্ত অন্ধকারের অবসান ঘটিয়ে এইদিন সন্ধ্যায় চোদ্দপ্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে। ফলে গৃহস্থের বাড়ি হয় আলোকময় এবং কোন ভূতের উপদ্রব থাকে না।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর