বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনের (China) পাতা ফাঁদ থেকে মুক্তি পেতে অবলম্বন করা ভারতের (India) বিভিন্ন পদক্ষেপে সামিল হয়েছে বিভিন্ন দেশও। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসাবে ভারতসহ বিভিন দেশ চীনের বিপক্ষে রয়েছে। সম্প্রতি ভারত সরকার বৈদেশিক অর্থনীতির (FDI) বিষয়ে বিভিন্ন নতুন নিয়ম জারী করেছে।
FDI নিয়মের পরিবর্তন
ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভারতের সীমান্তবর্তী যে কোন দেশ বা সংগঠন ভারত সরকাররে অনুমতি ব্যতীত সরাসরি ভারতে কোন বিদেশি বিনিয়োগ করতে পারবে না। ভারতীয় কোন কোম্পানীকে যাতে সস্তায় চীন অধিগ্রহণ করতে না পারে, সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। চীন সরকার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচারণ করে জানিয়েছে, এটা নিবেশের সামান্য নিয়মের বিরুদ্ধে যায়। যা ভারত সরকার জারী করেছে।
ভারতের দেখাদেখি ইউরোপও নিল কড়া পদক্ষেপ
ভারতের পরবর্তীতে ইউরোপ সরকারও চীনের বিরুদ্ধে নতুন নিয়ম জারী করে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চীনের উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। জার্মানির সিনিয়র কনজারভেটিভ নেতা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদ জানিয়েছেন, ইউরোপে স্থায়ী ভাবে চীনা কোম্পানির টেক ওভারে নিষেধাজ্ঞা জারী করতে হবে। করোনা ভাইরাসের জেরে ব্যবসায় মন্দা দেখা দেওয়ায় চীনের কোম্পানি সুযোগ বুঝে সস্তায় ইউরোপের কোম্পানি কিনে নিতে চাইবে।
জার্মানিও নিচ্ছে চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ
চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২০১৩ সাল থেকেই বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন আলোচনা জারী রয়েছে। গত মাসেই জার্মানি অন্তদেশিয় কোম্পানিদের রক্ষার জন্য FDI-এর নিয়ম আরও জোরদার করে। জার্মানী ইউরোপীয় ইউনিয়নের থেকে বাইরের দেশের জন্য নিজেদের কোম্পানিদের টেক ওভারের নিয়মে পরিবর্তন আনে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যখন চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে দ্বিতীয়বার ভাবার কথা আলোচনা হচ্ছিল, তখনই জার্মানি এই সিদ্ধান্ত নেয়।
অস্ট্রেলিয়াও সোচ্চার হয়েছে চীনের বিরুদ্ধে
করোনা ভাইরাসের কারণে চীনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে এসে ঠেকেছে। এমনকি বন্ধু দেশগুলোও তাঁদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিফ এবং জো -এর বেশিরভাগটাই চীনে রপ্তানি করা হত। কিন্তু করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে যখন অস্ট্রেলিয়াও চীনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে, তখন থেকেই চীন ওইসব দ্রব্যের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।
‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যের পর তীব্র কটাক্ষ! এবার মমতার সন্দেহ ‘১৪৪ বছর’ পর মহাকুম্ভ নিয়ে