বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আসন্ন নির্বাচনকে তৃণমূল (All India Trinamool Congress) নেত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) পাখির চোখ হিসাবে দেখছিলেন। সেই মত টার্গেট ছিল ২১ শে জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশ। কিন্তু বর্তমান করোনার আবহে সবকিছু উল্টে পাল্টে গেছে। লকডাউন পর্ব পার করে আনলক ২-এ এসেও মানতে হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে প্রকাশ্য সমাবেশেও।
২১ শে জুলাইয়ের শহীদ স্মরণ
১৯৯৮ সালের সেই সৃষ্টির প্রথম দিন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রতি বছর শহীদ দিবসের দিনটি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে পালন করে। এই দিন বাংলার যুব সমাজকে অনুপ্রেরণা দিতে মঞ্চে বক্তব্য রাখেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জীও। তবে প্রতি বছরের থেকে এবছরের পরিস্থিতি বেশ আলাদা।
বিজেপির ভার্চুয়াল বৈঠক
করোনা ভাইরাসের জেরে আসন্ন নির্বাচনে নিজের দলকে উজ্জীবিত করতে ভার্চুয়াল বৈঠককে সঙ্গী করছে বিজেপি। বিজেপির চাণক্য তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রথম এই অনলাইন বৈঠকের সূচনা করেছিলেন। তারপর থেকে বেশ কয়েকটি ভার্চুয়াল বৈঠকও করে বিজেপি দল। তাঁর ফলও মিলছে হাতেনাতে।
কিভাবে হবে শহীদ সমাবেশ?
এবার সেই বিজেপির পথ অবলম্বন করেই ভার্চুয়াল বৈঠকের ডাক দিলেন মমতা ব্যানার্জী। মধ্য কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে নয়, এবার অনলাইনেই হবে শহীদ দিবসের বার্তা প্রেরণ। প্রতি বছর এই দিনটিতে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে তৃণমূল পন্থী মানুষের সমাবেশ হয়। যুব সম্প্রদায়রা দলে দলে এসে ভিড় জমায় তাঁদের নেত্রীর বার্তা শোনবার জন্য। এবছর এই বার্তা প্রেরণ ভার্চুয়াল মাধ্যমেই সারতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শহীদ দিবসের কর্মসূচী
শুক্রবার বিকেলের দলীয় বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি তিনি জানান, ‘এবার ২১ জুলাই-র সমাবেশ ময়দানের বদলে দুপুর ২ টোয় ফেসবুকের মাধ্যমে করা হবে। দুপুর ১ টা থেকেই বুথে সমবেত হবেন সকলে। বাংলায় প্রায় ৮০,০০০ বুথ আছে। প্রতিটি বুথে ৩০ জনের বেশি থাকবেন না। প্রথমে পতাকা উত্তোলন করে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। তারপর ২ টো থেকে ৩ টে অবধি আপনাদের সঙ্গে কথা বলব’।