বাংলাহান্ট ডেস্ক: সিনেমা হলে (Cinema Hall) গিয়ে সিনেমা দেখতে কার না ভাল লাগে? পছন্দের অভিনেতা অভিনেত্রী বা প্রিয় বিষয় নিয়ে ছবি তৈরি হলে সকলেরই ইচ্ছা হয় প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখার। আর সিনেমা হলে তো শুধু ছবি দেখার জন্যই যায় না দর্শকরা, সেখানে রয়েছে আরো নানান বিনোদনের উপকরণ। বিশেষ করে সিনেমা দেখতে দেখতে পপকর্ন, কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়ার জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।
কিন্তু দামের বহর দেখে সহজে খাবার কাউন্টারের দিকে যেতে পারে না মানুষ। সামান্য পপকর্ন কিনতে গেলেই মধ্যবিত্তের পকেটে ছ্যাঁকা লাগার জোগাড় হয়। বিশেষত মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমার টিকিটের দামের থেকে বেশি হয় খাবারের দাম। অবশেষে মধ্যবিত্তের কথা ভেবে বিশেষ ব্যবস্থা নিল সরকার। এবার থেকে সিনেমা হলে গিয়ে খাবারের জন্য আর খরচের চিন্তা করতে হবে না।
মাল্টিপ্লেক্সে উপলব্ধ খাবারের উপর থেকে কমছে জিএসটি। জিএসটি কাউন্সিলের ৫০ তম বৈঠকে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। সিনেমা হলে খাবারের উপরে চালু জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে করে দেওয়া হয়েছে ৫ শতাংশ। এক ধাক্কায় ১৩ শতাংশ জিএসটি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে ব্যাপক লাভ হতে চলেছে সিনেপ্রেমীদের।
সিনেমা হলে উপলব্ধ পপকর্ন, বার্গার, নাচোস, কোল্ড ড্রিঙ্কস সবকিছুর উপরেই লাগু হতে চলেছে নতুন জিএসটি ব্যবস্থা। এতে কতটা লাভ হবে উপভোক্তার? আগের এবং পরের দামের মধ্যেই বা কতটা ফারাক ধরা পড়বে? সাধারণত সিনেমা হলে উপলব্ধ খাবারের দাম বাজারের দামের থেকে দ্বিগুণ তিনগুণ বাড়ানো থাকে। এমনিতে দোকানে যে পপকর্ন পাওয়া যায় ৫০ টাকায়, সেটাই সিনেমা হলে থাকে ২০০-৩০০ টাকার।
সেই হিসেবে ৩০০ টাকার পপকর্নের উপরে ১৮ শতাংশ জিএসটি অর্থাৎ ৫৪ টাকা অতিরিক্ত দিতে হত এতদিন। কিন্তু এখন ৫ শতাংশ জিএসটি হয়ে যাওয়ায় এবার থেকে ১৫ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে আসল দামের উপরে। তবে জানিয়ে রাখি, বিভিন্ন জায়গায় সিনেমার টিকিট এবং খাবারের দাম আলাদা আলাদা হয়। খাবারের দামের উপরে জিএসটি কমলেও সিনেমা এবং খাবারের কম্বো প্ল্যানে কিন্তু কর কমছে না। সেটা যেমন ছিল তেমনি থাকছে।