২০২০ সালের শেষ অবধি ছড়িয়ে পড়বে খাদ্যসঙ্কট, বিপদে ১৩ কোটি মানুষ: সতর্কতা জারি UN এর

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতে গত দশকে পুষ্টিহীন মানুষের সংখ্যা কমেছে ৬০ কোটি। কিন্তু মারণ ভাইরাস করোনার কারণে এ বছরের শেষে ১৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ দীর্ঘমেয়াদে অনাহারের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ (United Nations)।

সোমবার (১৩ জুলাই) প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কা জানানো হয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনগণের জন্য পুষ্টিকর ও মানসম্মত খাবার নিশ্চিতে নীতিমালা প্রণয়ন ও বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জানা গিয়েছে, জাতিসংঘের ‘স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ২০০ কোটি মানুষ খাদ্যজনিত অনিরাপত্তায় ভুগেছে। এর মধ্যে ৭৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য অনিরাপত্তার মধ্যে আছে।

জাতিসংঘ সতর্ক বলেছে, সে সংখ্যাটা এখন আরও বাড়ছে। এ প্রবণতা চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য নির্মূলের জন্য জাতিসংঘ যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তা হুমকির মুখে পড়বে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির আগে থেকেই বিশ্বে খাদ্যজনিত অনিরাপত্তা দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েক দশক ধরে কমতে থাকলেও ২০১৪ সাল থেকে এ শ্রেণির মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। তবে ক্ষুধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে কভিড-১৯, যা খাদ্যপ্রাপ্তির আশাকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। খাদ্য জোগানের অপ্রতুলতা বা সীমাবদ্ধতা আরও জোরালো হয়ে উঠছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে চরম খাদ্যাভাবে জর্জরিত সবচেয়ে বেশি মানুষ আফ্রিকার দেশগুলোতেই। এদের সংখ্যা প্রায় সাত কোটি ৭০ লাখ। এর পরেই রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ সংকটে পড়া মানুষ। তাদের পরিমাণ তিন কোটি ৪০ লাখ।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বের বেশিরভাগ দরিদ্র মানুষই ন্যূনতম পুষ্টিকর খাদ্যটুকু কেনার সামর্থ্য রাখে না। পুষ্টিকর খাদ্যের দাম সবার সাধ্যের মধ্যে রাখার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিনিয়োগের পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে কর পরিহার করতে বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

X